ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকা থেকে সামরিক গ্রেনেড উদ্ধার

উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকা থেকে সামরিক গ্রেনেড উদ্ধার

ফাইল ছবি

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৪ | ২০:৩৪

কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প-সংলগ্ন এলাকায় যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে ৯টি অত্যাধুনিক সামরিক গ্রেনেড উদ্ধার করেছে। এর মধ্যে রয়েছে চারটি আরজেস হ্যান্ড গ্রেনেড ও পাঁচটি এম-সিক্স সেভেন হ্যান্ড গ্রেনেড। গ্রেনেডগুলো মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে এনে ক্যাম্পে নাশকতার পরিকল্পনা ছিল কিনা, খতিয়ে দেখছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

শুক্রবার রাত ১১টার দিকে উখিয়ার পালংখালীর রোহিঙ্গা ক্যাম্প-লাগোয়া বালুখালীর মরাগাছতলা এলাকা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় গ্রেনেডগুলো উদ্ধার করা হলেও সোমবার বিষয়টি জানাজানি হয়। এ বিষয়ে উখিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।

উখিয়া থানার ওসি আরিফ হোসাইন বলেন, উদ্ধার হওয়া গ্রেনেডগুলো সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এগুলো কীভাবে এখানে আনা হয়েছে, কারা এর পেছনে জড়িত, সে রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা জানান, উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মিয়ানমারের দুটি সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মি (আরসা) ও আরাকান রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) মধ্যে প্রায়ই গোলাগুলি, সংঘর্ষ ও হতাহতের ঘটনা ঘটছে। অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর অনেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরাও পড়ছে। দুই সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সরকারি বাহিনীর যোগাযোগ রয়েছে।

রাখাইন রাজ্যে ১০ মাসের বেশি সময় ধরে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির লড়াই চলছে। আরাকান আর্মি রাখাইন রাজ্যের সরকারি বাহিনীর ২৫টির বেশি সীমান্ত চৌকিসহ মংডু টাউনশিপ দখলে নিয়েছে। দুই পক্ষের সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনাও ঘটছে অনেক। লুট হওয়া ভারী অস্ত্রের পাশাপাশি সরকারি বাহিনীর অত্যাধুনিক গ্রেনেড ও গুলি সংগ্রহ করে উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিয়ে আসছে সন্ত্রাসীরা। এ ব্যাপারে কঠোর নজরদারি বজায় রাখা হয়েছে।

বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩ ক্যাম্পে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা সাড়ে ১২ লাখ। এর মধ্যে ৮ লাখ এসেছে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর। 

আরও পড়ুন

×