ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

৯ মাস পর গ্যাস পেল আশুগঞ্জ সার কারখানা

৯ মাস পর গ্যাস পেল আশুগঞ্জ সার কারখানা

ছবি: সংগৃহীত

আশুগঞ্জ (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৫ নভেম্বর ২০২৪ | ১৮:৫০ | আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২৪ | ১৯:০০

প্রায় ৯ মাস পর উৎপাদন বিভাগে গ্যাস সংযোগ পেয়েছে আশুগঞ্জ সার কারখানা। শুক্রবার সকাল থেকে এ সংযোগ প্রদান করা হয়েছে বলে জানিয়েছে গ্যাস বিতরণকারী প্রতিষ্ঠান বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (বিজিডিসিএল) ও আশুগঞ্জ সার কারখানা কোম্পানি লিমিটেড (এএফসিএল) কর্তৃপক্ষ।

এদিকে গ্যাস পাওয়ার পর পর কারখানা কর্তৃপক্ষ চালুর প্রক্রিয়া শুরু করেছে। তবে কবে নাগাদ ইউরিয়া উৎপাদন শুরু হতে পারে, তা সুনির্দিষ্টভাবে জানাতে পারেনি কারখানা কর্তৃপক্ষ। কারখানা বন্ধ থাকায় এ সময় ৭০০ কোটি টাকার ইউরিয়া সার উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।

বিজিডিসিএল ও এএফসিএল সূত্রে জানা গেছে, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে কারখানার উৎপাদন বিভাগে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয় বিজিডিসিএল কর্তৃপক্ষ। কারখানা কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিক-কর্মচারীরা বিভিন্ন সময় উৎপাদন বিভাগে গ্যাস সরবরাহের দাবি জানালেও গ্যাস সরবরাহ করা হয়নি। অবশেষে শিল্প মন্ত্রণালয়ের গত বৃহস্পতিবারের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে শুক্রবার সকাল থেকে পুনরায় গ্যাস সরবরাহ দেয় বিজিডিসিএল কর্তৃপক্ষ। 

একটি সূত্রের দাবি, কারখানা চালু থাকলে দৈনিক ১ হাজার থেকে সাড়ে ১ হাজার ১৫০ টন ইউরিয়া উৎপাদন সম্ভব হয়। প্রতি টন ইউরিয়ার বিক্রয় মূল্য (কারখানা থেকে ডিলার এবং ভর্তুকিসহ মূল্য ৩৮ হাজার) ২৫ হাজার টাকা হিসেবে গত প্রায় ৯ মাসে (২৬৮ দিন) কমপক্ষে ৬৭০ কোটি টাকা মূল্যের ২ লাখ ৬৮ হাজার টন ইউরিয়া উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে।

এ ব্যাপারে বিজিডিসিএলের ডিজিএম (সঞ্চালন) প্রকৌশলী মো. জাহিদুর রেজা বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় শুক্রবার সকাল থেকে সার কারখানার উৎপাদন বিভাগে গ্যাস সরবরাহ দেওয়া হয়েছে। 

এ ব্যাপারে কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রদীপ কুমার নাথের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। পরবর্তীতে ক্ষুদে বার্তা দিলেও তার উত্তর দেননি।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কারখানার একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ও সিবিএ নেতৃবৃন্দ গ্যাস পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

এ ব্যাপারে কারখানার সিবিএ’র বর্তমান সাধারণ মো. আবু কাউছার ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. কবীর হোসেন যৌথভাবে সমকালকে বলেন, শুক্রবার থেকে কারখানায় গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয়েছে এবং কারখানার চালুর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে কারখানাটি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় কিছু ক্ষতি হয়েছে। ফলে ইউরিয়া উৎপাদনে যেতে কয়েকদিন সময় লাগতে পারে। কারখানা বন্ধ থাকায় দৈনিক প্রায় ৪ কোটি টাকার ইউরিয়া উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

আরও পড়ুন

×