ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

টিউমারের যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন নিঃস্ব অমিছা বেওয়া

টিউমারের যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন নিঃস্ব অমিছা বেওয়া

অমিছা বেওয়া

নীলফামারী প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৬ নভেম্বর ২০২৪ | ২২:৪৮

দেড় দশক আগে স্বামী মারা গেছে নীলফামারীর সৈয়দপুরের অমিছা বেওয়ার (৬৫)। একমাত্র মেয়েও বিয়ের পর তাঁর শ্বশুরবাড়িতে থাকেন। তাদের সংসারই চলে টেনেটুনে। তেমন কিছু করার সুযোগ নেই তাঁর মায়ের জন্য। হাত দুটিই সম্বল ছিল অমিছার। বাসাবাড়িতে ছুটা কাজ করে চালাতেন পেট। বয়সের ভারে এখন আর কাজকর্ম করতে পারেন না। খাওয়া-পরার এই বোঝার ওপর শাকের আঁটি হয়ে দাঁড়িয়েছে একটি টিউমার। দু’মুঠো আহার জোটানোই তাঁর জন্য কষ্টসাধ্য, এর মধ্যে কানের নিচে বড় একটি মাংসপিণ্ড তাঁকে দিচ্ছে অসহ্য যন্ত্রণা। অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে না পেরে ধুঁকছেন এই অসহায় নারী।

এলাকাবাসীর সহায়তায় সামান্য কিছু টাকা সংগ্রহ করে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে গিয়েছিলেন উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের হাজারীহাট খানপাড়ার অমিছা। অস্ত্রোপচার করতে হবে জানিয়ে তাঁকে কিছুদিন ভর্তি রাখা হয়। এক মাস পর আবারও আসতে বলা হয়। এভাবে হয়রানির কারণে তিনি আর সেখানে চিকিৎসা নিতে পারেননি। 

কিন্তু টিউমারের ব্যথা সহ্য করতে না পেরে রংপুর মহানগরীর একটি ক্লিনিকে যান। সেখানে রমেক হাসপাতালের নাক, কান, গলা রোগ বিশেষজ্ঞ সার্জন ডা. এ এইচ এম রশিদ-ই মাহবুব তাঁকে দ্রুত অস্ত্রোপচার করার কথা বলেন। এর জন্য লক্ষাধিক টাকা প্রয়োজন বলে তিনি জানিয়েছেন।

সরকার থেকে অর্থ সহায়তা পাওয়ার আশায় সম্প্রতি সৈয়দপুর উপজেলা সমাজসেবা দপ্তরে যান অমিছা। কিন্তু এই রোগের জন্য কোনো বরাদ্দ নেই বলে তাঁকে জানানো হয়। 

এ বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদ বলেন, ক্যান্সার, কিডনি, হৃদরোগসহ ছয়টি রোগের জন্য ৫০ হাজার টাকার সরকারি অনুদান দেওয়া হয়। কিন্তু এর মধ্যে টিউমার চিকিৎসা পড়ে না। এ কারণে অমিছাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

নিরুপায় হয়ে সমাজের দানশীল ও বিত্তবান-হৃদয়বান মানুষের কাছে হাত পেতেছেন অমিছা। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ ও সহযোগিতা করা যাবে ০১৯৫৪-৪০২৬৪৮ (বিকাশ) নম্বরে।  

আরও পড়ুন

×