ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

‘থাপড়াই দাঁত ফেলে দেব’- ওয়ার্ড সচিবকে চসিক মেয়র

‘থাপড়াই দাঁত ফেলে দেব’- ওয়ার্ড সচিবকে চসিক মেয়র

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। ছবি: সমকাল

চট্টগ্রাম ব্যুরো

প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০২৪ | ২১:৫৮ | আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২৪ | ২২:০১

পরিচ্ছন্নতা কাজে গতি আনতে নগরের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গিয়ে কর্মীদের হাজিরা নিচ্ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। সোমবার দুপুরে যান নগরের মোমিন রোডের জামালখান ওয়ার্ড কার্যালয়ের সামনে। সেখানে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের হাজিরা নিচ্ছিলেন। মেয়রের উপস্থিতিতেও উদাসীন ছিলেন ওয়ার্ড সচিব পারভেজ কবির। সিটি মেয়রকে সহযোগিতার পরিবর্তে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করছিলেন।

রাস্তার একপাশে দাড়িয়ে হাজিরা নিচ্ছিলেন মেয়র। রাস্তার অন্য পাশে দাড়িয়ে ছিলেন ওয়ার্ড সচিব। তাকে সামনে না পেয়ে মেজাজ হারান মেয়র। তাকে সামনে ডেকে এনে শাসান। বলেন, ‘তুমি ওখানে গেছ কেন? এদিকে আসো তুমি। মাস্তান হয়ছো মিয়া? থাপড়াই দাঁত ফেলে দেব একদম। বেয়াদব তুমি। আমাকে চেন তুমি? ফাঁকিবাজ তুমি।’

মেয়রের শাসানিতে হতভম্ব হয়ে পড়েন সচিব পারভেজ কবির। এ সময় মেয়র ওয়ার্ড সচিবকে অন্য ওয়ার্ডে বদলি করতে চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজমীকে নির্দেশ দেন। পরে আবার বলেন, ‘ওকে চেঞ্জ করে দেন, অন্য ওয়ার্ডে দেন। গাদ্দারি! এখন পর্যন্ত সে বেয়াদবি করছে। থাপড়াই দাঁত ফেলে দেব ওর।’

কাউন্সিলর অফিসে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ প্রসঙ্গে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘এখানে ওয়ার্ড সচিবকে আমি ডেকেছি। কিছুটা বকাও দিয়েছি। যাতে করে জনগণ ঠিকমতো সেবা পায়। জন্ম সনদ ও অন্যান্য কাগজপত্র নিতে যাতে অতিরিক্ত টাকা না নেওয়া হয় সেটা আমি হুঁশিয়ার করে দিয়েছি সবাইকে। জন্ম সনদ করতে ৫০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। ৫০ টাকার অধিক কেউ দেবেন না। অনেকের কাছ থেকে নাকি ১০০ ও ২০০ টাকা নিচ্ছে। এ রকম কেউ নিলে আপনারা আমাকে জানাবেন।’

পরিচ্ছন্নতা বিভাগের কর্মীদের হাজিরা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের মেয়র শাহাদাত বলেন, ‘হাজিরা আমি এজন্য দেখছি যে তারা ঠিকমতো আসে কি না। যদি এখানে কেউ না আসে তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব। আমি আসার পরও যদি তারা না আসে তাহলে বুঝতে হবে তারা ফাঁকিবাজি করছে। এখানের জনগণ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেবে। জনগণ যদি বলে সে করছে তাহলে করছে। আর যদি বলে সে কাজ করছে না, তাহলে ফাঁকিবাজি করছে।’

এ সময় প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজমী, চসিক মেয়রের একান্ত সহকারী মারুফুল হক চৌধুরী ও জনসংযোগ কর্মকর্তা আজিজ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন

×