ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

কক্সবাজার সৈকতে স্থাপনা নির্মাণ, তিন সচিবসহ ১২ কর্মকর্তাকে বেলার আইনি নোটিশ

কক্সবাজার সৈকতে স্থাপনা নির্মাণ, তিন সচিবসহ ১২ কর্মকর্তাকে বেলার আইনি নোটিশ

ফাইল ছবি

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২২:২৯

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের বালিয়াড়ি দখল করে রাতারাতি শতাধিক স্থাপনা নির্মাণ করায় তিন সচিব, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীসহ ১২ সরকারি কর্মকর্তাকে আইনি নোটিশ দিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)। রোববার ডাক বিভাগের মাধ্যমে রেজিস্ট্রিযোগে বেলার পক্ষে এ নোটিশ পাঠান আইনজীবী জাকারিয়া সুলতানা। নোটিশে গত ২৭ নভেম্বর সমকালে প্রকাশিত ‘কক্সবাজার সৈকত দখলের মচ্ছব’ শিরোনামের সংবাদটি সংযুক্ত করা হয়েছে।

নোটিশে সৈকতে নির্মিত ও নির্মাণাধীন সব স্থাপনা উচ্ছেদ করে সৈকত সংরক্ষণের জোরালো দাবি জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে কক্সবাজার পৌরসভার সমুদ্র তীরবর্তী উন্নয়ন নিষিদ্ধ জোনের ৩০০ মিটার ও পৌরসভাবহির্ভূত নিয়ন্ত্রিত জোনের ৫০০ মিটার এলাকায় পর্যাপ্ত সংখ্যক বৃক্ষরোপণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়। নোটিশ পাঠানোর সাত দিনের মধ্যে বেলার আইনজীবীকে পদক্ষেপ জানাতে অনুরোধ করা হয়েছে।  

যাদের কাছে নোটিশ পাঠানো হয়েছে, তারা হলেন–পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার, পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর, কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিচালক, কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড কক্সবাজার বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী।

বেলার আইনজীবী জাকারিয়া সুলতানা বলেন, ২০১৩ সালে কক্সবাজারে একটি মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করে সরকার। কক্সবাজার পৌরসভা এলাকার জোয়ার-ভাটার মধ্যবর্তী লাইন থেকে সৈকতসংলগ্ন প্রথম ৩০০ মিটার ‘নো ডেভেলপমেন্ট জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এর পরও সৈকতের বালিয়াড়ি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ দুঃখজনক।

গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর কক্সবাজার সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে বালিয়াড়িতে নির্মাণ করা হয়েছে শতাধিক দোকান। সড়ক ও ফুটপাতে বসেছে আরও শতাধিক ভ্রাম্যমাণ হকার। এতে নষ্ট হচ্ছে সৈকতের পরিবেশ ও সৌন্দর্য।

আরও পড়ুন

×