চট্টগ্রাম বন্দরে আবারও ভিড়ছে পাকিস্তান থেকে আসা সেই জাহাজ

চট্টগ্রাম বন্দরে আবারও ভিড়তে যাচ্ছে পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে কনটেইনার পণ্য নিয়ে আসা সেই জাহাজ। শুক্রবার ‘এমভি ইউয়ান জিয়াং ফা ঝং’ জাহাজটি বন্দর জলসীমায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। মূলত পোশাকশিল্পের কাঁচামাল ও রাসায়নিক, খনিজ পদার্থ ও ভোগ্যপণ্য পাকিস্তান থেকে আনা হয় কনটেইনারে। এবারও জাহাজটিতে এসব পণ্য থাকতে পারে। বুধবার শিপিং কোম্পানি ও বন্দর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জাহাজ চলাচল পর্যবেক্ষণ প্রতিষ্ঠান মেরিন ভ্যাসেল ট্রাফিক ওয়েবসাইটে দেখা যায়, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে পাকিস্তানের করাচি বন্দর হয়ে চট্টগ্রামমুখী জাহাজটি শ্রীলঙ্কার কাছাকাছি রয়েছে। ১১ ডিসেম্বর পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে সর্বশেষ কনটেইনার পণ্য বোঝাই করা হয় জাহাজটিতে। চট্টগ্রাম বন্দরের জাহাজের আগমন ও অবস্থানের তথ্য নিয়ে প্রতিদিনের হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যায়, এবার জাহাজটিতে সম্ভাব্য ৮২৫ একক কনটেইনার রয়েছে। এসব কনটেইনার নামিয়ে অন্তত ১ হাজার ২০০ একক কনটেইনার নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে শিপিং কোম্পানিটির। তবে জাহাজটি বন্দর জলসীমায় পৌঁছানোর পর সঠিক হিসাব পাওয়া যাবে। 

শিপিং সূত্র জানায়, দুবাইভিত্তিক কনটেইনার জাহাজ পরিচালনাকারী সংস্থা ‘ফিডার লাইনস ডিএমসিসি’ একটি কনটেইনার জাহাজ দিয়ে নতুন এই সেবা চালু করেছে। বাংলাদেশে কর্ণফুলী লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠানে রিজেনসি লাইনস লিমিটেড এই সংস্থার বাংলাদেশে স্থানীয় প্রতিনিধি হিসেবে যুক্ত হয়েছে। 

গ্রুপটির নির্বাহী পরিচালক আনিস উদ দৌলা জানান, প্রথমবারের চেয়ে এবার পাকিস্তান থেকে কনটেইনার আনার হার বেড়েছে। এখন একটি জাহাজ ৩৮ থেকে ৪২ দিনে একবার আরব আমিরাত থেকে পাকিস্তান হয়ে চট্টগ্রামে আসছে। কনটেইনারের সংখ্যা বাড়লে নতুন এই পথে জাহাজের সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে। দ্বিতীয়বারের মতো পণ্য নিয়ে রওনা হওয়া জাহাজটিতে প্রথমবারের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি কনটেইনার রয়েছে। তবে এসব কনটেইনারে কী পণ্য রয়েছে, তা জানা যায়নি। শিপিং কোম্পানি অনলাইনে আমদানি পণ্যের বিস্তারিত বিবরণ জমা দেওয়ার পর এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যাবে।

নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে পাকিস্তানের করাচি বন্দরের সঙ্গে চট্টগ্রামের সরাসরি কনটেইনার জাহাজ যোগাযোগ চালু হয়। প্রথমবার ৩৭০ একক কনটেইনার আনা হয় জাহাজটিতে করে। এর মধ্যে পাকিস্তান থেকে আনা হয় ২৯৭ একক কনটেইনার। বাকিগুলো আনা হয় সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে।