ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

বাঁধ অপসারণে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত ২৭০০ বিঘা জমি

বাঁধ অপসারণে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত ২৭০০ বিঘা জমি

সিংড়ায় ইটভাটার মাটি বহনের জন্য খালের মুখে নির্মাণ করা বাঁধ অপসারণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সমকাল

 সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২৩:৩৭

নাটোরের সিংড়ায় ইটভাটায় মাটি পরিবহনের জন্য খালের ওপর তৈরি করা তিনটি বাঁধ অবশেষে  অপসারণ করা হয়েছে। এতে জলাবদ্ধতা থেকে ২৭শ বিঘা ফসলি জমি মুক্ত হবে– এমন আশা কৃষকদের। বুধবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে ভেকু দিয়ে বাঁধগুলো অপসারণ করা হয়। এ সময় খালের ওপর থাকা আরও তিনটি বাঁধ অপসারণে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেওয়া হয়। 
নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের শেরকোল ও পাঁচবাড়িয়া এলাকায় সড়ক ও জনপদের খালের পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত করে মালপত্র বহনের জন্য বাঁধ দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌসসহ তিনজন ভাটা মালিক। এতে শেরকোল, পাঁচবাড়িয়া, আগপাড়া, মাঝপাড়া, খাগোরবাড়িয়া, মাদারী গ্রাম, নিওগির গ্রামের প্রায় ২৭শ বিঘা ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। পাঁচ শতাধিক কৃষক রবিশস্য ও বোরো ধান আবাদ করতে পারছিলেন না। 
স্থানীয় কৃষক আব্দুল করিম জানান, খালের মুখে বাঁধ নির্মাণের কারণে ছয় গ্রামের পাঁচ শতাধিক কৃষককে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ভাটার মালিকরা প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায়নি। দীর্ঘদিন পর হলেও সেই বাঁধ অপসারণে কৃষকদের দুঃখ-দুর্দশার অবসান ঘটবে।
চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বলেন, অসংখ্য সরকারি খাল ও জলাভূমি কিছু অসাধু লোক দখল করে রেখেছে। ফসলি জমির পানি নিষ্কাশন ও সেচের জন্য প্রয়োজনীয় এ খালগুলো দখলমুক্ত হলে বিলের জীববৈচিত্র্য রক্ষা পাবে। প্রশাসনের এমন অভিযানে কৃষি ও কৃষকের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করবে। 
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম বলেন, খালে অবৈধভাবে বাঁধ দিয়ে পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছিল। এতে ২৭শ বিঘা তিন ফসলি জমি জলাবদ্ধতার কবলে পড়ে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান চালিয়ে বাঁধগুলো অপসারণ করা হয়েছে। এরপরও কেউ প্রাকৃতিক খাল ও জলাশয়ের পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 

আরও পড়ুন

×