ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

বগুড়া বিএনপিতে মান্নাকে নিয়ে টানাপোড়েন

বগুড়া বিএনপিতে মান্নাকে নিয়ে টানাপোড়েন

মাহমুদুর রহমান মান্না। ছবি: ফাইল

 এস এম কাওসার, বগুড়া

প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১০:৪৮

বিএনপি জোটের শরিক হিসেবে ২০১৮ সালে বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনে ‘ধানের শীষ’ প্রতীকে নির্বাচন করেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। আগামী নির্বাচনেও তিনি জোটবদ্ধ নির্বাচনে আগ্রহী এবং তা নিজ দলের প্রতীক ‘কেটলি’ নিয়ে। কিন্তু  বিএনপির তৃণমূল বাইরের প্রার্থী মানতে নারাজ। মান্নাকে নিয়ে চলছে টানাপোড়েন। যদিও সম্ভাব্য প্রার্থীরা বলছেন, হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।

জানতে চাইলে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করে আসছি। নির্বাচনও জোটবদ্ধ হয়ে করতে চাই।’ 

তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালের নাগরিক ঐক্যের নিবন্ধন ছিল না বলে ধানের শীষ নিয়েছিলাম। এখন আমার দল নিবন্ধিত। কেটলি প্রতীকই হবে আমার নির্বাচনী প্রতীক।’
বগুড়া-২ আসনে ১৯৯১ সালে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী এমপি হন। এর পর ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালে বিএনপি জয় পায়। ২০১৪ সালে বিনা ভোটে এমপি হন জাতীয় পার্টির প্রার্থী। ২০১৮ সালে ধানের শীষ নিয়ে মান্না হেরে যান জাপার কাছে।

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে জামায়াত প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে। নবীন-প্রবীণ মিলে বিএনপির ছয় নেতা আলোচনায়। তারা হলেন– জেলা বিএনপির সহসভাপতি এম আর ইসলাম স্বাধীন, শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ মীর শাহে আলম, সাবেক এমপি এ কে এম হাফিজার রহমান, অধ্যক্ষ নুর আফরোজ জ্যোতি, ড্যাব নেতা ডা. ফিরোজ আহম্মেদ ও উপজেলা মহিলা দলের বহিষ্কৃত সভাপতি বিউটি বেগম। বিএনপি কেন্দ্রভিত্তিক কমিটি করে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে এলাকায় মান্নার ঘন ঘন আগমন ও সভা-সমাবেশ করায় তিনিই জোটের প্রার্থী হচ্ছেন বিএনপিতে এমন গুঞ্জন রয়েছে। যদিও মান্নার কর্মসূচিতে নিজ দলের নেতাকর্মী ছাড়া বিএনপির কাউকে দেখা যায় না।

সূত্র জানায়, বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা মুখে কিছু না বললেও দলের বাইরে কাউকে মেনে নেবেন না। ইতোমধ্যে শীর্ষ পর্যায়ের কয়েক নেতা বলেছেন, বগুড়ায় একটি আসনও সমমনাদের দেওয়া হবে না। স্থানীয় বিএনপির দুটি গ্রুপের বড়টি নিয়ন্ত্রণ করেন মীর শাহে আলম। তারা সবাই মান্নাবিরোধী। তবে অন্য পক্ষ ভেতরে ভেতরে মান্নাকে সমর্থন দিচ্ছে।

বিএনপির একাংশের দাবি, মান্না নৌকা 

এবং ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করেও জিততে পারেননি। আগামীতে জোটের প্রার্থী হিসেবে কেটলি নিয়ে লড়লে আসনটি জামায়াতের ঘরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সংরক্ষিত আসনের সাবেক এমপি অধ্যক্ষ নুর আফরোজ জ্যোতি বলেন, ‘মান্নাকে আসন ছাড় দেওয়া হবে কিনা, জানি না। তবে তাঁর সম্পর্কে বিএনপির ভোটার ও নেতাকর্মীর ধারণা নেতিবাচক।’ 

মীর শাহে আলম বলেন, ‘বিষয়টি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেখভাল করছেন। দল যাকে বেছে দেবে, তাঁর হয়ে কাজ করব।’

আরও পড়ুন

×