ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

কুলাউড়া ইউএনওর উদ্যোগ

অনলাইনে বেতন-ফি দেবে শিক্ষার্থীরা

অনলাইনে বেতন-ফি দেবে শিক্ষার্থীরা

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মহিউদ্দিন

কুলাউড়া ( মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ২২:০৪

কুলাউড়ায় মাধ্যমিক স্তরের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আর্থিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে অনলাইন ব্যাংকিং সেবা পদ্ধতি চালু করেছে উপজেলা প্রশাসন। ফলে শিক্ষার্থীরা ঘরে বসেই মাসিক বেতন, ভর্তি, সেশন ও পরীক্ষা ফিসহ চার্জ জমা দিতে পারবে। 

সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মহিউদ্দিন উপজেলার সবকয়টি মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজের প্রধানদের নিয়ে কয়েক দফায় বৈঠক করেন। বৈঠকে অনলাইনে শিক্ষার্থীদের বেতন-ফি নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। পরে সোনালী ব্যাংকের অনলাইন ‘সোনালী সেবা’ এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন ও পরীক্ষা ফ্রি আদায়ের জন্য সোনালী ব্যাংক পিএলসির পক্ষ থেকে অফার লেটার উপজেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছে পাঠানো হয়। পরে সোনালী ব্যাংক পিএলসি কুলাউড়া শাখায় ২২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ব্যাংকের চুক্তি হয়।

বরমচাল উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ মো. ফজলুল হক বলেন, ইউএনও স্যারের এই উদ্যোগটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। কুলাউড়ায় সর্বপ্রথম আমাদের প্রতিষ্ঠান এই অনলাইন সেবার আওতায় এসেছে। এই সেবার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে তাদের ইউনিক আইডি ও প্রতিষ্ঠানের ইআইএন দিয়ে ব্যাংকের সফটওয়্যারে প্রবেশ করে অনলাইনে বিকাশ, নগদ, উপায়, ডাচবাংলাসহ বিভিন্ন মাধ্যমে মাসিক বেতন, ভর্তি, সেশন ও পরীক্ষা ফিসহ চার্জ জমা দিতে পারবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মহিউদ্দিন বলেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে বিভিন্ন সময় অভিযোগ এসেছে। গত নভেম্বর মাসে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নীতিমালা অনুসারে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের নিয়ে কয়েক দফায় বৈঠকে বসি। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন, ফি, চার্জসহ প্রাপ্ত অর্থ সরাসরি স্কুলে জমা না দিয়ে অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

তিনি বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠান আগ্রহী ছিল তাদেরকে সোনালী ব্যাংক অফার লেটার দিয়েছে। তারপর স্কুলগুলো সম্মতি দিলে ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন করা হয়। গত ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে পরীক্ষামূলকভাবে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠানে অনলাইন সেবা চালু হয়েছে। আশা করছি, পর্যায়ক্রমে সব প্রতিষ্ঠান এই পদ্ধতির আওতায় আসবে। এতে প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে।

জেলা প্রশাসক মো. ইসরাইল হোসেন বলেন, কুলাউড়ার ইউএনওর উদ্যোগটি খুবই চমৎকার। এই উদ্যোগটি অনুকরণীয় হয়ে থাকবে। জেলার সব উপজেলায়ও পদ্ধতিটি চালু করা হবে। এই পদ্ধতির মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে বলে মনে করি।

আরও পড়ুন

×