রংপুরে মানবতাবিরোধী অপরাধ
পুলিশ, ভিসি ও ছাত্রলীগ নেতাদের সম্পদের তথ্য তলব

লোগো
জসিম উদ্দিন বাদল
প্রকাশ: ১০ মার্চ ২০২৫ | ০১:০২
রংপুর পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি), বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) ও ছাত্রলীগের সভাপতিসহ ২০ জনের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের বিবরণ চেয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি)। তারা সবাই মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত। এ জন্য গত ৫ মার্চ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দিয়েছে তদন্ত সংস্থা। এনবিআর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আইসিটির সহসমন্বয়ক মুহম্মদ শহীদুল্যাহ্ চৌধুরীর সই করা চিঠিতে বলা হয়, তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্তদের সম্পদের বিবরণ প্রয়োজন।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গত বছরের জুলাইয়ে সারাদেশে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। এই আন্দোলনে অংশ নিয়ে ১৬ জুলাই দুপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পার্ক মোড়ে গুলিবিদ্ধ হন আবু সাঈদ (২৫)। তিনি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক। এর পর দেশব্যাপী আন্দোলন বেগবান হলে তা গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়। ক্ষমতাচ্যুত হয় আওয়ামী লীগ সরকার। আন্দোলনে দমন-পীড়ন চালানোয় মামলা হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। সেই মামলার তদন্ত চলছে।
অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন রংপুরের সাবেক সাত পুলিশ কর্মকর্তা, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিসহ পাঁচ শিক্ষক, একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের ছয় নেতা, রংপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও চিকিৎসক।
পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন– রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি মো. আব্দুল বাতেন, মেট্রোপলিটনের সাবেক কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান, সাবেক উপকমিশনার মো. আবু মারুফ হোসেন ও সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. শাহ নূর আলম পাটোয়ারী, কোতোয়ালি জোনের সাবেক সহকারী কমিশনার মো. আরিফুজ্জামান, সাবেক সহকারী কমিশনার মো. আল ইমরান হোসেন ও তাজহাট থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম।
শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন– বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. হাসিবুর রশিদ, সহযোগী অধ্যাপক ও সাবেক প্রক্টর শরীফুল ইসলাম, সহকারী রেজিস্ট্রার রাফিউল হাসান রাসেল, গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. মশিউর রহমান, লোকপ্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান মণ্ডল। এ ছাড়া রয়েছেন রংপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আহাম্মেদ সাদাত ও রংপুর কোতোয়ালি থানার চিকিৎসক মো. সারোয়াত হোসেন ওরফে চন্দন।
ছাত্রলীগ নেতাদের মধ্যে রয়েছেন– বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি পোমেল বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক মো. মাহফুজুর রহমান শামীম, সাংগঠনিক সম্পাদক ধনঞ্জয় কুমার দাস ওরফে টগর, তথ্য সম্পাদক বাবুল হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ এমরান চৌধুরী আকাশ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুদুল হাসান মাসুদ।
এনবিআরকে দেওয়া তদন্ত সংস্থার চিঠিতে বলা হয়েছে, সাবেক সরকারের আস্থাভাজন, রাজনৈতিক নেতা ও সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
- বিষয় :
- সম্পদের হিসাব