সম্পদের হিসাব

জুলাই অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার ১৭০ আসামির স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তথ্য চেয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। গত বছর আগস্ট মাসের শেষ দিকে এ-

সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মুহম্মদ আজিজ খান, তাঁর পরিবার ও স্বার্থসংশ্লিষ্টদের নামে থাকা ১৯১টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব হিসাবে ৪১ কোটি ৭৪ লাখ ৭৬০ টাকা রয়েছে।

রংপুর পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি), বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) ও ছাত্রলীগের সভাপতিসহ ২০ জনের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের বিবরণ চেয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল

প্রথমে গত বছরের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত, পরে সেটি বাড়িয়ে করা হয় ৩১ ডিসেম্বর; সর্বশেষ সেই সময়সীমাও বাড়িয়ে করা হয় চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি। সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব জমা দেওয়ার সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও, তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি।

দুদক সংস্কার কমিশনের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের সম্পদের হিসাব জমা দিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন। দুদকের অন্য কমিশনাররাও তাদের সম্পদ বিবরণী জমা দেবেন বলে জানান তিনি।

সম্পদের তথ্য গোপনের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ। বৃহস্পতিবার সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ এ রায় দেন। 

সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব জমা দেওয়ার সময়সীমা আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। আজ রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান এ কথা জানান।

আর বাকি ১৩ দিন। আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সম্পদের হিসাব দিতে হবে দেশের ১৫ লাখ সরকারি কর্মচারীকে। এ জন্য দৌড়ঝাঁপ করছেন তারা। পরীক্ষা করছেন আয়কর ফাইল। কেউ কেউ নিচ্ছেন আইনজীবীর পরামর্শ।

সরকারি কর্মচারীদের সম্পদ বিবরণীর তথ্য গোপনীয়তার স্বার্থে সিলগালা করা খামে কর্তৃপক্ষ বরাবর দাখিল করতে হবে। সম্পদ বিবরণী দাখিলের শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর। রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক চিঠিতে এ কথা বলা হয়েছে।

প্রায় চার হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর সম্পদের হিসাব চেয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। সরকারি নির্দেশনার অংশ হিসেবে গত ১ অক্টোবর সহকারী সচিব (প্রশাসন) তিরান হোসেনের সই করা চিঠিতে এ হিসাব চাওয়া হয়। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্ত্রী-সন্তানদের সম্পদের হিসাবও দিতে হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।