বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে চোখ হারানো ফরিদকে কুপিয়ে জখম

মো. ফরিদ শেখ
পিরোজপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭ এপ্রিল ২০২৫ | ১৬:৫৪
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকায় অবস্থানকালে পুলিশের গুলিতে চোখ হারানো মো. ফরিদ শেখ ওরফে লাবিব (১৭) নামে এক কিশোরকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। রোববার রাতে পিরোজপুর সদর উপজেলার টোনা ইউনিয়নের গোপেরহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত ফরিদ শেখ পিরোজপুর সদর উপজেলার টোনা গ্রামের ইলিয়াছ শেখ ও সালমা বেগমের পালিত ছেলে। ফরিদ বর্তমানে পিরোজপুরের টোনা গ্রামে দাদার বাড়িতে থাকে এবং স্থানীয় তেজদাসকাঠী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণির ছাত্র। সে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকায় অবস্থানকালে গত ৪ আগস্ট দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাব এলাকায় চোখে গুলিবিদ্ধ হয়। এতে তার বাম চোখ নষ্ট হয়ে যায়।
হামলার ঘটনায় আজ সোমবার ফরিদের মা সালমা বেগম বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ আরও ৩-৪ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে পিরোজপুর সদর থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগে বলা হয়, ফরিদের সঙ্গে পিরোজপুর সদর উপজেলার কলাখালী ইউনিয়নের রাজারকাঠী গ্রামের নাছির কাজীর ছেলে রাকিব কাজীর কথা কাটাকাটি হয়। বিষয়টি তখন মীমাংসা করে দেন স্থানীয়রা। কিন্তু রাকিব বিষয়টি নিয়ে ক্ষিপ্ত ছিল। পরে রোববার রাতে টোনা ইউনিয়নের গোপেরহাট নামক এলাকায় ফরিদকে একা পেয়ে রাকিব লোকজন নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। স্থানীয়রা তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।
ফরিদ জানায়, গত রোজায় টোনা গ্রামের একটি মসজিদে নামাজে দাঁড়ানো নিয়ে রাকিব কাজীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে আমাকে গোপেরহাট ভাঙ্গা পুল এলাকায় একা পেয়ে রাকিবের নেতৃত্বে সিয়াম শিকদার, নাছির কাজী, শাকিল শিকদারসহ ৭-৮ জন আমার ওপর হামলা করে। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে এবং পাইপ ও ইট দিয়ে আঘাত করা হয়। পরে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে প্রথমে চলিশা বাজারের গ্রাম্য ডাক্তারের মাধ্যমে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে আমাকে ভর্তি করা হয়।
পিরোজপুর সদর থানার ওসি মো. আব্দুস সোবাহান জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে চোখ হারানো ফরিদ সেখের ওপর হামলা ও কুপিয়ে জখমের খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। থানায় একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন।