ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

ঈশ্বরদীতে বৈশাখী সাহিত্য উৎসব: দুই বাংলার কবি-সাহিত্যিকদের মিলনমেলা

ঈশ্বরদীতে বৈশাখী সাহিত্য উৎসব: দুই বাংলার কবি-সাহিত্যিকদের মিলনমেলা

ছবি- সমকাল প্রতিনিধি

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫ | ১৩:৪৬ | আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫ | ১৩:৫০

দুই বাংলার খ্যাতিমান কবি, সাহিত্যিক ও সংস্কৃতিপ্রেমীদের অংশগ্রহণে পাবনার ঈশ্বরদীতে সম্পন্ন হলো তিন দিনব্যাপী "চরনিকেতন বৈশাখী সাহিত্য উৎসব ২০২৫"। চরগড়গড়ি গ্রামের চরনিকেতন কাব্যমঞ্চে আয়োজিত এই উৎসব ছিল সাহিত্য, সংস্কৃতি এবং মিলনমেলার এক অপূর্ব সম্মিলন।

সোমবার শুরু হয়ে বুধবার রাত পর্যন্ত চলা এই উৎসবের মূল আয়োজনে ছিল—বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা, বাউল গান ও দেশাত্মবোধক সংগীত পরিবেশনা, কবিকণ্ঠে কবিতাপাঠ, সাহিত্য বিষয়ক সেমিনার, নববর্ষ উপলক্ষে আলোচনা সভা এবং কবি মজিদ মাহমুদের ৬০তম জন্মোৎসব ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান।

উৎসবে ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত শতাধিক কবি-সাহিত্যিক অংশ নেন। কবি মজিদ মাহমুদের সভাপতিত্বে আয়োজিত উৎসবের উদ্বোধনী দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রাজনীতিক হাবিবুর রহমান হাবিব। সমাপনী দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পাবনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম।

উৎসবে বক্তব্য রাখেন কবি শেখ রবিউল হক, পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি আখতারুজ্জামান আখতার, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও কবি-গীতিকার আব্দুল খালেক বিশ্বাস, ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সভাপতি আজিজুর রহমান শাহীন, সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের সহসভাপতি জাহিদুল ইসলাম সনু ও সাধারণ সম্পাদক এস আলমগীর।

ঢাকা থেকে আগত বিশিষ্ট কবিদের মধ্যে ছিলেন—শামসুদ্দিন হীরা, আজিজুল বাশার, ফিরোজ শাহ, রুবিনা আজাদ, মেহেদী হাসান আকাশ, আফতাব আহমেদ মাহবুব, মাকসুদা ইয়াসমিন, রুদ্র রোমিও, লুৎফুন নাহার সোনিয়া, জাকির মোল্লাসহ অনেকে।

ভারত থেকেও কবি অরূপ কুমার ভুঁইয়ার উপস্থিতি এই উৎসবকে আন্তর্জাতিক মাত্রা দিয়েছে।

সাহিত্য উৎসবের শেষ দিনে কবি মজিদ মাহমুদের ৬০তম জন্মদিন উদযাপন করা হয় ব্যাপক আয়োজনে। তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও সম্মাননা জানিয়ে সাহিত্যপ্রেমীরা বলেন, “চরনিকেতন শুধু একটি সাহিত্য মঞ্চ নয়, এটি একটি চেতনার নাম। মজিদ মাহমুদ আমাদের গর্ব।”

আয়োজকরা জানান, এই ধরনের উৎসব শুধুমাত্র সাহিত্য চর্চা নয়, বরং দুই বাংলার মধ্যে সংস্কৃতি ও বন্ধনের সেতুবন্ধন তৈরি করে। ঈশ্বরদীতে এমন আয়োজন ভবিষ্যতেও নিয়মিতভাবে করা হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজক কমিটি।

সাহিত্যপ্রেমী ও সাধারণ মানুষদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে উৎসবটি হয়ে উঠেছিল এক প্রাণবন্ত সাহিত্য মিলনমেলা। এই উৎসব প্রমাণ করেছে—সাহিত্য এখনো সমাজের প্রাণ, সংস্কৃতির বাতিঘর।
 

আরও পড়ুন

×