গরিবের ক্ষুধা আছে, ঠান্ডা-গরম নাই

সুনামগঞ্জের শনির হাওরপারের ভাটি তাহিরপুর গ্রামের চাতালে ধান ও খড় শুকাতে ব্যস্ত কৃষক পরিবারের সদস্যরা। রোববার তোলা ছবি সমকাল
তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | ২৩:২৮ | আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১১:২৫
মাথার ওপর কাঠফাটা রোদ, চাতালতলায় আগুনে উত্তাপ। এর মাঝেই ধান শুকানোর কাজ করে যাচ্ছেন স্থানীয় কৃষক পরিবারের সদস্যরা। তাহিরপুরসহ সুনামগঞ্জ জেলার সবখানে এখন বোরো ধান ঘরে তোলার ব্যস্ততা। তাই রুক্ষ প্রকৃতিকে উপেক্ষায় করেই কাজ করে যাচ্ছেন বোরোচাষি ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তাদেরই একজন বলেন, ‘গরিবের আছে খালি ক্ষুধা। ঠান্ডা-গরম বইলা কিছু নাই। জমির ধান গোলায় গেলে খাওন জুটবো। অভাব-অনটন থাকব না। এই ফসলের কাছে গরম কিছুই না।’
হাওরাঞ্চলে এবার বোরোর প্রত্যাশিত ফলন হয়েছে। এতে স্থানীয় কৃষকের চোখেমুখে খুশির ঝিলিক। যত্নে ফলানো সোনার ফসল ঘরে তোলায় ব্যস্ত এসব কৃষকের কাছে বাকি সব কষ্টই উপেক্ষিত। শনির হাওর, মাটিয়ান হাওর, মহালিয়াসহ উপজেলার ২৩টি হাওরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন দৃশ্যই চোখে পড়েছে।
হাওরপারের কৃষকরা ধান কাটা, মাড়াই, ঝাড়া, খড় শুকানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন এখন। ফলন ভালো হওয়ার আনন্দে প্রচণ্ড গরমেও তাদের বিরামহীন ব্যস্ততায় কোনো ভাটা নেই।
রোববার শনির হাওরপারের ভাটি তাহিরপুর গ্রামের ধানের খলাগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, কৃষকরা তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ধান শুকাচ্ছেন। প্রচণ্ড রোদ উপেক্ষা করে পরিবারের ছোট-বড় সবাই সেখানে কাজ করছেন খুশি মনে। কেউ ধান শুকাচ্ছেন, কেউ চিটা ছাড়াচ্ছেন। কেউ আবার ব্যস্ত মাড়াই কাজে।
ভাটি তাহিরপুর গ্রামের কৃষক মহসিন মিয়া বলেন, রাস্তাঘাট খারাপ থাকার কারণে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে প্রতি বস্তা ধান ৫০-৬০ টাকা খরচে খলায় আনতে হচ্ছে। হাওরের ভেতরের রাস্তাঘাট ভালো হলে এমনটা হতো না।
- বিষয় :
- তাহিরপুর