চট্টগ্রামে অটোরিকশা চালকদের সমাবেশ পণ্ড, গ্রেপ্তার তিন
পুলিশের লাঠিপেটায় পাঁচজন আহত হওয়ার দাবি

ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের সমাবেশ থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ছবি-সংগৃহীত
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | ২২:২৮
চট্টগ্রাম নগরে অটোরিকশা চালকদের সমাবেশ পুলিশের বাধায় পণ্ড হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার ডবলমুরিং থানার দেওয়ানহাট মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন– রিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদ চট্টগ্রাম শাখার আহ্বায়ক আল কাদেরী জয়, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট-চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি মিরাজ উদ্দিন ও রূপন। আল কাদেরী বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) চট্টগ্রাম জেলার ইনচার্জের দায়িত্বেও আছেন। সংগ্রাম পরিষদের নেতাদের দাবি, পুলিশের হামলায় তাদের অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন।
গত ১৮ এপ্রিল রাতে নগরের কাপাসগোলা এলাকায় অটোরিকশা উল্টে হিজরা খালে পড়ে সেহেরিজ নামে ছয় মাসের শিশু প্রাণ হারায়। ঘটনার পর নগরে অটোরিকশা চলাচল করতে দেওয়া হবে না বলে ঘোষণা দেন সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। এই রিকশার বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ। বিভিন্ন সড়ক ও গ্যারেজে অভিযান চালিয়ে তিন হাজারের বেশি রিকশা জব্দ করা হয়। অভিযানের প্রতিবাদে ২৩ এপ্রিল নগরের বাহির সিগন্যাল এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন চালকরা। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তারা।
মঙ্গলবার সকালে অটোরিকশা জব্দ, গ্যারেজে হয়রানি বন্ধসহ পাঁচ দাবিতে নগরের দেওয়ানহাট মোড়ে সমাবেশ ও মিছিল কর্মসূচির আয়োজন করে রিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদ। তারা দেওয়ানহাট মোড়ে জড়ো হলে পুলিশ অতর্কিত হামলা শুরু করে বলে অভিযোগ সংগ্রাম পরিষদের নেতাদের।
পরিষদের সদস্য সচিব মনির হোসেন বলেন, ১০০ থেকে ১৫০ জন মাত্র রাস্তার পাশে জড়ো হয়েছি। সড়কে যাইনি, কোনো বিশৃঙ্খলাও করিনি। কিন্তু অতর্কিতে পুলিশ আমাদের ওপর হামলা শুরু করে। মাইক-ব্যানার কেড়ে নির্বিচারে লাঠিপেটা করে। আহতরা ছত্রভঙ্গ হয়ে নানাদিকে চলে গেছে। এর মধ্যে আহত পাঁচজনকে আমরা চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি।
এ বিষয়ে ডবলমুরিং থানার ওসি কাজী রফিক আহমেদ বলেন, কিছু ব্যক্তি সড়ক অবরোধ করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছিলেন। যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিয়েছি। তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হালিশহর থানায় হওয়া একটি নিয়মিত মামলার আসামি।