বিমান বাহিনীর সদস্যকে মারধরের অভিযোগ ২ এএসআইয়ের বিরুদ্ধে, বাদ যাননি মা-বাবা-স্ত্রীও

ফাইল ছবি
ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ মে ২০২৫ | ০০:২০
ঢাকার ধামরাইয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়াই ছুটিতে থাকা বিমান বাহিনীর এক সদস্যকে হাতকড়া পরিয়ে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় প্রতিবাদ করায় তার মা-বাবা ও স্ত্রীকেও মারধর করেন দুই এএসআই। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বিমান বাহিনীর সদস্য জসিম উদ্দিন শুক্রবার ধামরাই থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। শনিবার অভিযুক্ত দুই এএসআই সেলিম ও শহীদুর রহমানকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধামরাই থানার ওসি মনিরুল ইসলাম।
ভুক্তভোগী ও সাধারণ ডায়েরি সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় ধামরাই থানার এএসআই সেলিম ও শহীদুর রহমানসহ চারজন পুলিশ সদস্য উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের পাবরাইল গ্রামে ছুটিতে থাকা বিমান বাহিনীর সদস্য (কর্পোরাল) জসিম উদ্দিনের বাড়িতে যায়। এ সময় এএসআই সেলিম ওয়ারেন্ট আছে বলে জসিম উদ্দিনকে হাতকড়া পরিয়ে টেনে-হিঁচড়ে রাস্তায় নিয়ে পেটান। এ সময় জসিম উদ্দিন নিজেকে বিমান বাহিনীর সদস্য পরিচয় দেন এবং ওয়ারেন্ট দেখাতে বললেও তার কথা শোনেননি ওই এএসআই। একপর্যায় মারধরের প্রতিবাদ করতে যান জসিম উদ্দিনের মা সুফিয়া বেগম, বাবা আক্কাস আলী ও স্ত্রী জিয়াসমিন। ওই সময় পুলিশ সদস্যরা তাদেরকেও মারধর করেন। এরপর এএসআই সেলিম থানায় ফোন করে জানতে পারেন জসিম উদ্দিনের নামে কোনো ওয়ারেন্ট নেই। পরে খবর পেয়ে কাওয়ালিপাড়া বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই অমল কুমার রায় ঘটনাস্থলে গিয়ে জসিম উদ্দিনের হাতকড়া খুলে দেন। তখন এএসআই সেলিম, এএসআই শহীদুর রহমান বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে না জানানোর অনুরোধ করে জসিম উদ্দিনের কাছে ক্ষমা চান।
এ ঘটনায় শুক্রবার জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে এএসআই সেলিমসহ চারজন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ধামরাই থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। শনিবার ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে এএসআই সেলিম ও শহীদুর রহমানকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা করা হয়েছে।
অভিযুক্ত এএসআই সেলিম বিমান বাহিনীর সদস্য জসিম উদ্দিন ও তার মা-বাবা এবং স্ত্রীকে মারধর করার কথা অস্বীকার করেন।
এবিষয়ে ধামরাই থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক তদন্তে অভিযুক্ত এএসআই সেলিম ও শহীদুর রহমানকে জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। বিষয়টি আরও তদন্ত করা হবে।
- বিষয় :
- পুলিশ
- মারধর
- প্রত্যাহার