তিলের জমিতে মধু চাষ লাভবান কৃষক

ভাণ্ডারিয়ার গৌরীপুরে তিলের ক্ষেতের পাশে মৌ বাক্স সমকাল
পিরোজপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ মে ২০২৫ | ২৩:২৭
বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠজুড়ে এখন সবুজের ঢেউ। সেখানে তিলের আবাদ হয়েছে। ক্ষেতের পাশেই মৌবাক্স বসিয়েছেন মৌচাষিরা। মৌমাছির মাধ্যমে তিলের ফুলের পরাগায়নে সহায়তা হচ্ছে। এতে তিলের উৎপাদন বাড়বে, অন্যদিকে পাওয়া যাবে মধু। সমন্বিত এই পদ্ধতিতে পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার গৌরীপুরের কৃষক ও মৌচাষি উভয়ই লাভবান হচ্ছেন।
কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও সহযোগিতায় চলতি বছর গৌরীপুর ইউনিয়নের ঘোষের হাওলায় ৫০ থেকে ৬০ জন কৃষক একটি প্রদর্শনী ব্লকের মাধ্যমে ১০০ বিঘা জমিতে বারি-৪ জাতের তিল চাষ করেন। এ উদ্যোগকে সফল করতে বরগুনা থেকে কয়েকজন পেশাদার মৌচাষি আনা হয়েছে। তারা ক্ষেতের দক্ষিণ পাশে সুইডেনপ্রবাসী আরিফুল ইসলামের বাড়ির পাশের বাগানে ১৩০টি মৌমাছির বাক্স স্থাপন করেছেন। বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে খরচ বাদে বিঘাপ্রতি ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা লাভ থাকবে কৃষকের। পাশাপাশি মধু বিক্রি করে লাভবান হবেন মৌচাষিরা।
তিল চাষি মো. আবুল হাওলাদার জানান, ক্ষেত থেকে দুই মাসে সাড়ে ৫ লাখ টাকার মধু পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন মৌ চাষি রানা হোসেন।
কৃষি কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, এ উদ্যোগ ভাণ্ডারিয়ার কৃষি খাতে এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। আগামী বছর এই সমন্বিত চাষ আরও বৃদ্ধি করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াছিন আরাফাত রানা বলেন, মৌবাক্সের মধু থেকে মৌচাষিরা বাড়তি আয় করেন। ক্ষেতে মৌবাক্স স্থাপনে মৌমাছির পরাগায়নের মাধ্যমে ফসলের ১০ শতাংশ ফলন বেশি হয়। এখানে দু’পক্ষই লাভবান হবেন। তাই আগামিতে আরও বেশি জমি এ পদ্ধতিতে ব্যবহারের আওতায় আনা হবে। কৃষক ও মৌচাষিদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হবে।
- বিষয় :
- মধু