ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

কম সারে আবাদে বাঁচবে ২৫০ কোটি

কম সারে আবাদে বাঁচবে ২৫০ কোটি

ফাইল ছবি

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১১ মে ২০২৫ | ০১:১৪

দেশের অন্যতম শীর্ষ আলু উৎপাদনকারী জেলা মুন্সীগঞ্জ। এ জেলার ছয়টি উপজেলার কৃষকই আলু উত্তোলনের পর উৎপাদন খরচের তুলনায় দাম পান কম। যে কারণে প্রতি বছর তাদের গুনতে হয় লোকসান। তাদের জন্য আশা জাগিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কম সার ব্যবহারের প্রকল্প। 
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে জেলার ৩৪ হাজার ৭৫৮ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে মুন্সীগঞ্জ সদর, টঙ্গিবাড়ী, লৌহজং, সিরাজদীখান, শ্রীনগর ও গজারিয়া উপজেলার ৩০০ কৃষকের জমির মাটি পরীক্ষা করা হয়। কৃষি বিভাগ ১৫০ কৃষকের জমিতে ৫ শতাংশ করে প্রদর্শনীর প্লট তৈরি করে। এসব প্লটের জমিতে ইউরিয়া, টিএসপি ও এমওপি মিলিয়ে শতাংশপ্রতি তিন থেকে ছয় কেজি সার ব্যবহার করা হয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগ প্লটেই পাঁচ কেজি করে সার ব্যবহার করা হয়েছে। অথচ জেলার অন্য কৃষকরা আলু আবাদের জমিতে শতাংশপ্রতি ১২-১৫ কেজি সার ব্যবহার করেন।
মুন্সীগঞ্জ সদরের সুখবাসরপুর গ্রামের কৃষক মো. ইব্রাহিম এবার আলু চাষ করেছেন ৮০ শতাংশ জমিতে। এর মধ্যে পাঁচ শতাংশ জমি প্রদর্শনী প্লটের আওতায় নেওয়া হয়। শতাংশপ্রতি ছয় কেজি করে সার ব্যবহার করেছেন। পাশাপাশি বাকি জমিতে শতাংশপ্রতি সার ব্যবহার করেন ১২ কেজি করে। ইব্রাহিমের ভাষ্য, কম সার ব্যবহার করা প্রদর্শনীর প্লটে শতাংশপ্রতি সাড়ে তিন মণ আলু পেয়েছেন। বেশি সার ব্যবহার করা জমি থেকে শতাংশপ্রতি আলু পেয়েছেন সোয়া তিন মণ।
সদর উপজেলার বাংলাবাজার গ্রামের কৃষক শাহাদাত হোসেনের ভাষ্য, ‘আমি যখন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রদর্শনী প্লটে কম সার ব্যবহারে আলু আবাদ করি, তখন অন্য কৃষকরা হাসাহাসি করেছেন। কিন্তু ভালো ফলন পাওয়ায় ওই কৃষকরাই যোগাযোগ করেছেন।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত বলেন, ‘প্লটে শতাংশপ্রতি তিন থেকে ছয় কেজি করে সার ব্যবহার করে পরীক্ষা চালিয়েছি। অন্যান্য কৃষক সেখানে শতাংশপ্রতি সার ব্যবহার করেছেন ১২-১৫ কেজি। কম সার ও বেশি সার ব্যবহার করা জমি থেকে পাওয়া আলুর পরিমাণে খুব একটা তফাত নেই। এভাবে আলু আবাদ হলে বছরে মুন্সীগঞ্জের কৃষকদের অন্তত ২৫০ কোটি টাকা বেঁচে যাবে।

আরও পড়ুন

×