ঢলে ভেসে গেল সংযোগ সড়ক, হেলে পড়ল ঘর

ঢলে ভেসে গেছে সেতুর সংযোগ সড়ক। হেলে পড়েছে পাশের দোকানঘর। তার নিচে ঝুঁকি নিয়ে খেলাধুলা করছে দুরন্ত শিশুর দল। শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার ধানশাইল ইউনিয়নের সোমেস্বরী নদীর চাপাতলী সেতু এলাকা থেকে তোলা সমকাল
শেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৫ | ০০:৫৫ | আপডেট: ১৯ মে ২০২৫ | ১৪:০৭
প্রবল বর্ষণে উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সোমেস্বরী নদীর ওপর নবনির্মিত চাপাতলী সেতুর দুই পাশের সড়ক ভেঙে গেছে। এ ছাড়া পানি প্রবাহে বাধা সৃষ্টি হওয়ায় আধাপাকা একটি দোকানঘরও ভেঙে গেছে। গত শনিবার রাতে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার ধানশাইল ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
গতকাল রোববার সকাল থেকে সোমেস্বরী নদী দিয়ে প্রবল বেগে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে দুপুরের পর থেকে পানি কমে যায়।
জানা গেছে, ঝিনাইগাতী সীমান্তের ওপারে ভারতের মেঘালয় রাজ্য। সেখানে কয়েক দিন ধরে ব্যাপক বৃষ্টিপাতের খবর আসছিল। এরই মধ্যে ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) আব্দুর রশিদ স্বাক্ষরিত একটি চিঠি গত ১৫ মে শেরপুর ত্রাণ ও পুনর্বাসন দপ্তরে পাঠানো হয়। সেখানে জেলায় আকস্মিক বন্যার বিশেষ সতর্কবার্তা দেওয়া হয়। এ নিয়ে সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়। জেলার সীমান্তবর্তী শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ভোগাই, সোমেস্বরী, ঢেউফাসহ বেশ কয়েকটি নদী। এসব নদী ভারত থেকে এসেছে।
এদিকে শনিবার সারারাত প্রবল বৃষ্টিপাত হয় ঝিনাইগাতী উপজেলায়। রাতে উজানের ঢলে সোমেস্বরী নদীতে পানি বেড়ে যায়। এ সময় ধানশাইল বাগেরভিটা গ্রামে সোমেস্বরী নদীর ওপর নির্মিত চাপাতলী নতুন সেতুর সেন্টারিংয়ে পানি আটকে দু’পাশের কিছু সড়ক ও একটি দোকান ভেঙে যায়।
ধানশাইল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম জানান, নদীতে ঢলের পানি আসার পর সেতুর সেন্টারিংয়ে বাধাপ্রাপ্ত হয়। এ সময় পানি প্রবাহে সেতুর পাশে থাকা একটি দোকানঘর ও সড়কের কিছু অংশ ভেঙে গেছে।
খবর পেয়ে দুপুরে ঘটনাস্থলে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেল ও উপজেলা প্রকৌশলী শুভ বসাক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
উপজেলা প্রকৌশলী শুভ বসাক বলেন, সেতুর ছাদের কাজ শেষ হয়েছে। ২৮ দিন হয়নি। এজন্য সেন্টারিং খোলা হয়নি। শনিবার রাতে প্রবল বর্ষণের ফলে নদীতে পানি বেড়ে যায়। স্রোতের সঙ্গে গাছসহ ময়লা-আবর্জনা এসে সেন্টারিংয়ে আটকে যায়। পাশাপাশি সেতুর দুই পাশে সংযোগ সড়ক করতে স্থানীয় লোকজন বাধা দিচ্ছিল। এ কারণে ঢলের অতিরিক্ত পানি এসে আটকে গিয়ে সেতুর দুই দিক দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার ফলে কিছু সড়ক ও একটি দোকান ভেঙে যায়।
ঝিনাইগাতীর ইউএনও আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, ‘ঘটনাস্থলে গিয়েছি। সোমেস্বরী নদীতে পানি বেড়েছে। নবনির্মিত সেতুর দুই পাশে কিছু সেন্টারিং ছিল। পানি উপচে গিয়ে সংযোগ সড়কের কিছু অংশ ও একটি দোকান আংশিক ভেঙে গেছে।
- বিষয় :
- শেরপুর
- ভারী বৃষ্টি