ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

মিরসরাইয়ে লোহার কারখানার কাঁচামালের ভেতর মিললো গ্রেনেড

মিরসরাইয়ে লোহার কারখানার কাঁচামালের ভেতর মিললো গ্রেনেড

চট্টগ্রাম ব্যুরো

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২০ | ০১:৪৮ | আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২০ | ০৩:৩৪

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিং মিলস (বিএসআরএম) লিমিটেডের কারখানার আমদানি করা কাঁচামালের ভেতর থেকে একটি গ্রেনেড উদ্ধার করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।

মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জের মধ্যম সোনাপাহাড় এলাকার কারখানায় এ গ্রেনেডটির সন্ধান পাওয়া যায়।বুধবার সন্ধ্যায় গ্রেনেডটি পাশের একটি খালি জায়গায় নিয়ে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিষ্ক্রিয় করেন কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের বোম ডিজপোজাল ইউনিটের সদস্যরা।

এ ঘটনায় জোরারগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।

কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) পলাশ কান্তি নাথ সমকালকে বলেন, জেলা পুলিশের মাধ্যমে জোরারগঞ্জ থানা থেকে খবর পেয়ে বোম ডিসপোজাল ইউনিটটিকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। তারা গ্রেনেডটি শনাক্ত করে পাশের একটি খালি জায়গায় নিয়ে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিষ্ক্রিয় করে। এছাড়া কারখানার ভেতরে আর কোনো গ্রেনেড আছে কিনা তাও দেখা হয়। তবে আর কোনো গ্রেনেড সেখানে পাওয়া যায়নি। পুরো অভিযানটিতে নেতৃত্ব দেন বোম ডিসপোজাল ইউনিটের পরিদর্শক রাজেশ বড়ুয়া।

জোরারগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, বুধবার বিকেলের দিকে কারখানা থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়। কারখানায় আমদানি করা লোহার রড তৈরির কিছু কাঁচামালের মধ্যে গ্রেনেডটি পড়ে থাকতে দেখা যায়। সেটি উদ্ধার করতে সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটকে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে আসে এবং সেটি উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করে।

মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, গ্রেনেড কোথা থেকে কিভাবে কারখানার ভেতরে আসলো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিষয়টি জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। কারখানার নিরাপত্তার ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

বিএসআরএম-এর ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর তপন সেন গুপ্ত বলেন, 'প্রতি বছর ১২ থেকে ১৪ লাখ টন স্ক্র্যাপ বিদেশ থেকে আমদানি করি আমরা। আমদানিকৃত এই স্ক্র্যাপেই মরিচা ধরা গ্রেনেডটা দেখতে পায় শ্রমিকরা। এটি তাজা ছিল কিনা তা ভালো বলতে পারে পুলিশ। তারা এটি নিস্ক্রিয় করেছে। কারখানা নিরাপদ আছে। সব কিছু স্বাভাবিকভাবে চলছে।'

আরও পড়ুন

×