২ মাস পর আশুগঞ্জ সার কারখানায় উৎপাদন শুরু

প্রতীকী ছবি
আশুগঞ্জ (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৬ আগস্ট ২০২০ | ০৩:০৭
যান্ত্রিক ত্রুটি মেরামত শেষে প্রায় ২ মাসের বেশি সময় পর গত শনিবার রাত থেকে আশুগঞ্জ সার কারখানায় ফের ইউরিয়া উৎপাদন শুরু হয়েছে। গত অর্থবছরের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন শেষে কিছু যান্ত্রিক ত্রুটি মেরামতের জন্য গত ৯ জুন কারখানাটি বন্ধ করেছিল কর্তৃপক্ষ। মাঝে বেশ কয়েক দফা কারখানাটি চালুর চেষ্টা করা হলেও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে তা সম্ভব হয়নি।
চলতি অর্থবছরে প্রাথমিকভাবে ১ লাখ ৮০ হাজার টন ইউরিয়া উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বিসিআইসি কর্তৃপক্ষ। আগামী এপ্রিল-মে মাসে ওভারহোলিং কাজে কারখানার উৎপাদন বন্ধ থাকবে। বর্তমানে কারখানাটি নির্ধারিত ক্ষমতার ৭০ শতাংশ ইউরিয়া উৎপাদন করছে। তারপরও সবকিছু ঠিক থাকলে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে বলে আশাবাদী কারখানা কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, গত অর্থবছরে কারখানাটির উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ৮০ হাজার টন। নানা জটিলতা পেরিয়ে কারখানাটি অর্থবছরের শেষে তা অর্জন শেষে গত ৯ জুন কিছু যান্ত্রিক ত্রুটি (যেমন -এসএনসি বয়লার, ভ্যাপকক বয়লারে লিকেজ ও এ্যামোনিয়া কম্প্রেসরে ব্লক অপরসারন) মেরামতের জন্য উৎপাদন বন্ধ করে। মেরামত শেষে কয়েক দফা কারখানাটি চালুর চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়নি। পরে নিজস্ব প্রকৌশলীসহ যমুনা সার কারখানা থেকে দক্ষ জনবল এনে মেরামত করা হয়। তবে পুরনো কারখানা হিসেবে কিছু ত্রুটি নিয়ে শনিবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে কারখানাটি ইউরিয়া উৎপাদন শুরু করে। কারখানাটি বর্তমানে নির্ধারিত ক্ষমতার ৭০ শতাংশ শক্তিতে উৎপাদন শুরু করেছে। চলতি অর্থবছরে বিসিআইসি কর্তৃপক্ষ প্রাথমিকভাবে গত বছরের সমান (১ লাখ ৮০ হাজার টন) ইউরিয়া উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছে।
এদিকে নিয়মিত ওভারহোলিং কাজের জন্য আগামী এপ্রিল মাস থেকে প্রায় ৩ মাসের জন্য কারখানার উৎপাদন বন্ধ থাকবে। তবে সব কিছু ঠিক থাকলে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব বলে আশা প্রকাশ করে কারখানা কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে কারখানার এমডি মো. শাহাদত হোসেন সমকালকে বলেন, যান্ত্রিক ত্রুটি মেরামত শেষে শনিবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে ৭০ শতাংশ শক্তিতে ইউরিয়া উৎপাদন শুরু হয়েছে। বর্তমানে দৈনিক ১১শ‘ টনের মতো ইউরিয়া উৎপাদন হচ্ছে। সব কিছু ঠিক থাকলে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।