বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার প্রতিবাদ সমাবেশে সংঘর্ষ, পুলিশের গুলি

ছবি: সমকাল
চাঁদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর ২০২০ | ১০:০৮
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার প্রতিবাদে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে প্রতিবাদ মঞ্চ। মঙ্গলবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের হাজীগঞ্জ চৌরাস্তা এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়। এতে আহত হন কমপক্ষে ২০ জন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১২২ রাউন্ড শটগানের ফাঁকা গুলি ছোড়ে। আহতদের হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেপ ও স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
স্থানীয়রা জানান, দুপুরে সমাবেশ শুরুর আগেই মঞ্চ ও একুশে হাসপাতাল, কয়েকটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও বাস ভাঙচুর করে আওয়ামী লীগের একাংশের নেতাকর্মীরা। তারা টায়ার, কাঠের টুকরা জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধের চেষ্টা করে। এর পাল্টা হিসেবে আওয়ামী লীগের আরেকটি গ্রুপ হাজীগঞ্জ পশ্চিম বাজারে গিয়ে রাফা টাওয়ারে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে।
হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশের তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে বিকেলে বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে নেতাকর্মীরা ব্যানার-ফেস্টুন হাতে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দেয়।
সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির আহম্মেদ ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটোয়ারী দুলাল এবং হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন মিয়াজী ও সাধারণ সম্পাদক গাজী মো. মাঈনুদ্দিন।
তাদের বক্তব্য দেওয়ার সময় মঞ্চ লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ও ককটেল নিক্ষেপ করে একাংশের নেতাকর্মীরা। এতে সমাবেশ ভণ্ডুল হয়ে যায়। দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে। এর পরই গাজী মো. মাঈনুদ্দিনের নেতৃত্বে হাজীগঞ্জ বাজারে বিক্ষোভ মিছিল হয়।
পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শুকুর আলম শুভর অভিযোগ, সাংসদ মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীরউত্তমের নামে মিছিল নিয়ে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নামধারী একাংশ ভাঙচুর চালায়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ সার্কেল) মো. আফজাল হোসেন বলেন, দুপুরের পর থেকেই দুটি পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিচার্জ করা হয়েছে। তাতে কাজ না হওয়ায় শটগানের গুলি শূন্যে নিক্ষেপ করা হয়।
গাজী মো. মাঈনুদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, যারা এই হামলা চালিয়েছে, তারা কখনও আওয়ামী লীগের লোক হতে পারে না।