উপহার দিতে ডেকে নিয়ে প্রবাসীর স্ত্রীকে দলবেঁধে ধর্ষণ

প্রতীকী ছবি
কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮ ডিসেম্বর ২০২০ | ০৭:৩১
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় এক সন্তানের জননী প্রবাসীর স্ত্রী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার তরগাঁও ইউনিয়নের নবীপুর গ্রামের নরদারটেক এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে।
খবর পেয়ে রাতভর অভিযান চালিয়ে ধর্ষণে জড়িত অভিযোগে ৭ যুবককে আটক করেছে পুলিশ। পরে শুক্রবার ওই গৃহবধূর মা বাদী হয়ে ৮ জনকে আসামি করে কাপাসিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, স্বামীর অবর্তমানে ওই গৃহবধূ সাখাওয়াত হোসেন নামে এক যুবকের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। গত বুধবার ওই গৃহবধূ স্বামীর বাড়ি মনোহরদী উপজেলা থেকে তরগাঁও ইউনিয়নে বাবার বাড়ি বেড়াতে আসেন। পরের দিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার প্রেমিক সাখাওয়াত হোসেন তাকে একটি মোবাইল ফোন উপহার দেওয়ার কথা বলে পার্শ্ববর্তী নর্দারটেকে ডেকে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে ওই টেকের একটি কড়ই গাছের নিচে সাখাওয়াত তাকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি জানতে পেরে সাখাওয়াতের বন্ধু মাসুম ও সাকিবসহ অন্যরা সেখানে উপস্থিত হন। পরে তারা রাত সাড়ে সাতটা থেকে সাড়ে আটটা পর্যন্ত পালাক্রমে তাকে ধর্ষণ করের তারা। শেষে গৃহবধূকে আটকে রেখে তার মায়ের কাছে মোবাইল ফোনে তারা ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। এ সময় তার মা মোবাইল ফোনে বিষয়টি থানা পুলিশকে জানান। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান চালিয়ে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় প্রথমে মাসুমকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার স্বীকারোক্তিতে রাতভর অভিযান চালিয়ে ধর্ষণে জড়িত অপর ছয়জনকে বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
তারা হলেন- উপজেলার তরগাঁও গ্রামের মোস্তফা বেপারীর ছেলে রোমান বেপারী (২০), মহসিন বেপারীর ছেলে জোবায়ের বেপারী (২০), মফিজউদ্দিন সর্দারের ছেলে মোস্তারিন (১৯), এহসান বেপারীর ছেলে সাহাবুল হোসেন সাকিব (২১), বাদল মোড়লের ছেলে মাহফুজুল হক (২০), বোয়ালিয়ার টেকের মৃত ছফুরউদ্দিনের ছেলে মাসুম শেখ (২১) ও সামসুল হকের ছেলে রাকিব হোসেন (২০)। এ ঘটনার মূলহোতা চরখামের গ্রামের আইনউদ্দিনের ছেলে সাখাওয়াত হোসেন (২৪) পলাতক রয়েছে।
কাপাসিয়া থানার ওসি মোঃ আলম চাঁদ জানান, গ্রেপ্তাররা ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। শুক্রবার তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার মূল হোতা সাখাওয়াত হোসেনকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।