অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ
বরিশালে পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহারের দাবি চিকিৎসকদের

বরিশাল ব্যুরো
প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০২০ | ০৯:৫৫
ভুল চিকিৎসার অভিযোগে করা মামলার তদন্তে গিয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ উঠেছে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রিয়াজুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
এই পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) বরিশাল শাখা।
সংগঠনের সহসভাপতি ডা. সৈয়দ মাকসুদ হক ও সাধারণ সম্পাদক ডা. মনিরুজ্জামান গত বৃহস্পতিবার রাতে এক বিবৃতিতে এসআই রিয়াজুলের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তুলে তাকে কোতোয়ালি থানা থেকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। একই সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তারা ভবিষ্যতে যাতে তাদের সঙ্গে আর অসৌজন্যমূলক আচরণ না করেন, সে ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি করেছেন।
বিবৃতিতে বিএমএর বরিশাল শাখার সভাপতি ও ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্ট ডা. ইসতিয়াক হোসেনকে মামলার আসামি করায় নিন্দা জানিয়ে বলা হয়, একজন সার্জন চিকিৎসকের ভুল অপারেশনের সঙ্গে ডা. ইসতিয়াক হোসেন সম্পৃক্ত নন। তাকে হয়রানি করতে এ মামলায় আসামি করা হয়েছে।
এসআই রিয়াজুল ইসলাম গত ২২ ডিসেম্বর রাত ৯টায় মামলার প্রাথমিক তদন্তে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে যান। এ সময় তিনি হাসপাতালে অনুপস্থিত হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্ট ও বিএমএ সভাপতি ডা. ইসতিয়াক হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।
বিএমএর বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ভুল অপারেশনের অভিযোগে অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. এমএস রহমান সুমন ঘটনার শিকার রোগী মানিক কারিকরের চিকিৎসার দায়িত্ব বহনের ঘোষণা দিলে ওই রোগী মামলা প্রত্যাহারের জন্য থানায় যান। কিন্তু থানার কর্মকর্তারা মামলা প্রত্যাহার না করে ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। এ অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার এফিডেভিটের মাধ্যমে আদালতে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেন মানিক কারিকর।
ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ডা. সুমন গত ১৭ ডিসেম্বর মানিক কারিকরের হার্নিয়ার অপারেশন করেন। তার বাঁ পাশে অপারেশন করার কথা থাকলেও চিকিৎসক এমএস রহমান সুমন ডান পাশে অপারেশন করেন। এ অভিযোগে মানিক কারিকর গত ২০ ডিসেম্বর বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন।