এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: একই ট্রাইব্যুনালে হবে দুই মামলার বিচার

সিলেট ব্যুরো
প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | ০৯:০৬
সিলেট বিভাগীয় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে যাওয়া নববধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার বিচার চলবে। উচ্চ আদালত বাদীপক্ষের আবেদন আমলে নিয়ে ধর্ষণের পাশাপাশি চাঁদাবাজি মামলার বিচারও একই আদালতে করার নির্দেশ দিয়েছেন। ফলে আদালত বদলের আবেদন খারিজ করায় ট্রাইব্যুনালেই দুটি মামলার বিচার হবে।
রোববার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এদিন উচ্চ আদালতের রায় থাকায় সিলেটে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন ধর্ষণ মামলার পূর্বনির্ধারিত সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি। আগামী ৭ মার্চ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেছেন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহিতুল হক। নতুন করে বাদীপক্ষ উচ্চ আদালতে না গেলে এখন ট্রাইব্যুনালে চাঁদাবাজির মামলা স্থানান্তর হবে। এ মামলার অভিযোগ গঠনসহ আনুষঙ্গিক বিচার প্রক্রিয়া এখনও শুরু হয়নি।
গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ দুটি অভিযোগপত্র দেয়। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ধর্ষণ মামলার বিচার শুরু হলেও চাঁদাবাজি মামলার অভিযোগপত্র কোনো আদালত গ্রহণ করেনি। এ অবস্থায় বাদীপক্ষ বিচারের সুবিধার্থে দুটি মামলা একই আদালতে করার আবেদন করেন। গত ২৪ জানুয়ারি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহিতুল হক এ আবেদন খারিজ করার পর বাদীপক্ষ হাইকোর্টে আবেদন করেন।
রোববার হাইকোর্টের শুনানিতে বাদীর আবেদনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার সাবরিনা জেরিন ও ব্যারিস্টার এম আব্দুল কাইয়ুম লিটন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
ব্যারিস্টার আব্দুল কাইয়ুম সাংবাদিকদের বলেন, হাইকোর্ট দুই অভিযোগের বিচার একই আদালতে করতে নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে মামলার বাদী, ভিকটিম ও সাক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছেন।
রোববার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে পূর্বনির্ধারিত দিনে সাক্ষ্য গ্রহণ না হওয়ার ব্যাপারে বাদীর আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম জানান, বিচারিক আদালত পরিবর্তন চেয়ে আবেদনের শুনানি শেষে হাইকোর্টে আদেশ দেওয়ার তারিখ নির্ধারিত ছিল। উচ্চ আদালতের রায় অপেক্ষমাণ থাকায় বিচারিক আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি। তিনি বলেন, বাদী ন্যায়বিচার না পাওয়ার আশঙ্কা থেকে বিচারিক আদালত পরিবর্তনের আবেদন করেছিলেন।
এদিন ধর্ষণ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ৮ আসামিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছিল।