ওসির বিরুদ্ধে 'মিথ্যা' অভিযোগ, কারাগারে আবছার

চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | ০৮:৫৫
চট্টগ্রামে পুলিশের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) 'মিথ্যা' অভিযোগ দেওয়ার মামলায় নুরুল আবছার নামে এক 'মাদক ব্যবসায়ী'কে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। নুরুল আবছার নগরীর পতেঙ্গা থানার দক্ষিণপাড়ার বদিউল আলমের ছেলে।
দুদক পিপি কাজী সানোয়ার আহমেদ লাভলু জানান, দুদকে পুলিশ সদস্য ও তার বিরুদ্ধে এক মামলার সাক্ষীদের মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করার অপরাধে ২০২০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর নুরুল আবছারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক। এরপর ৩০ সেপ্টেম্বর তিনি হাইকোর্ট থেকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন নেন। সেই মেয়াদ শেষ হলে মঙ্গলবার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন আবছার। আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেন।
২০১৯ সালের ২৫ মার্চ ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে ৩০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি ও ১৫ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ এনে পতেঙ্গা থানার সাবেক ওসি আবুল কাশেম ভূঁইয়াসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন নুরুল আবছার। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- পতেঙ্গা থানার সেকেন্ড অফিসার প্রণয়, এএসআই তরুণ কান্তি শর্মা, এসআই আবদুল মোমিন, সাবেক এএসআই কামরুজ্জামান, এএসআই মিহির, ইলিয়াস, জসিম ও নুরুল হুদা।
মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়, নুরুল আবছারের শ্যালকের মোবাইল ফোনে কল করে টাকা দাবি করেন পতেঙ্গা থানার এএসআই তরুণ কান্তি শর্মা। আদালত বিষয়টি দুদককে অনুসন্ধান করতে দিলে দুদক দেখে, মামলায় যার নম্বর দেওয়া হয়েছে সেটি মিথ্যা। এ ছাড়া মামলায় যাদের সাক্ষী হিসেবে রাখা হয়েছে, তাদেরও সন্ধান পাওয়া যায়নি।
নুরুল আবছারের কাছ থেকে পুলিশের ঘুষ নেওয়া ও ঘুষ দাবির বিষয়টিও সত্য নয়। তদন্তে সবকিছু মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এর উপসহকারী পরিচালক নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে নুরুল আবছারের বিরুদ্ধে ২০০৪-এর ২৮(গ) ধারায় আদালতে মামলা করেন।
- বিষয় :
- চট্টগ্রাম
- ওসি
- মিথ্যা অভিযোগ
- কারাগার