মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড

ফরিদপুর অফিস
প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ০৫:০৯ | আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ০৫:০৯
ফরিদপুরে এক মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের পর গলা কেটে হত্যার দায়ে জিন্দাত আলী ওরফে পলাশ (৩২) নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ( জেলা ও দায়রা জজ) প্রদীপ কুমার রায় মঙ্গলবার এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যদণ্ডপ্রাপ্ত জিন্দার আলী ওরফে পলাশের বাড়ি বোয়ালমারী উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়নের কদমী গ্রামে। তার বাবার নাম কালাম শেখ। রায় ঘোষণার সময় জিন্দার শেখ আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১০ সালের ২০ মে কদমী গ্রামের মো. মোসলেম মোল্লার মেয়ে এবং কদমী আবু জাফর সিদ্দিকীয়া মাদ্রাসার আলীম প্রথম বর্ষের শিক্ষাথী রুপালী খানমকে (২০) বাড়ি ফেরার পথে ধর্ষণের শিকার হন। এর পর রুপালীকে কাচি (কাস্তে) দিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয়।
এই ঘটনায় নিহতদের বাবা বাদী হয়ে বোয়ালমারী থানায় একটি মামলা করেন। পুলিশ মামলা তদন্ত কালে আকলিমা নামের এক নারীকে আটক করে রিমান্ডে নেয়। পরে এই মামলার চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।
বাদীর নারাজির প্রেক্ষিতে আদালত মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পুলিশের জেলা গোয়েন্দাকে (ডিবি) দায়িত্ব দেয়। ফরিদপুরের অফিসার ইনচার্জ ডিবির নির্দেশে এস আই শেখ আবু বক্কর মামলার তদন্তকালে বাদীসহ সাক্ষীদের জবানবন্দি গ্রহণ করেন এবং তদন্তকালে আসামি জিন্দার আলী শেখকে গ্রেপ্তার করে। পরে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় জিন্দার শেখ।
রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাড. স্বপন পাল বলেন, মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আজ বিষয়টি সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণ হওয়ায় ফৌজদারি কাযবিধির ৩৭৪ ধারা অনুযায়ী আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই আদেশে আসামিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।