ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

কেন্দ্র দখল করতে গিয়ে র‌্যাবের লাঠিপেটায় আহত ছাত্রলীগ নেতা

কেন্দ্র দখল করতে গিয়ে র‌্যাবের লাঠিপেটায় আহত ছাত্রলীগ নেতা

কেন্দ্র দখল করতে গিয়ে অবরুদ্ধ নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াদ ও তার কর্মীরা -সমকাল

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২১ | ০৮:৪১ | আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২১ | ০৮:৪১

নারায়ণগঞ্জ সদরে এক মেম্বার প্রার্থীর পক্ষে কেন্দ্র দখল করতে গিয়ে প্রতিপক্ষ প্রার্থীর অনুসারীদের হাতে অবরুদ্ধ হয়ে কেন্দ্রের বাথরুমে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ ও তার সহযোগীরা। পরে র‌্যাব ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করলে রিয়াদসহ বেশ কয়েকজন অনুসারী আহত হন। এ কারণে ওই কেন্দ্রে বেশ কিছু সময় ভোট গ্রহণ স্থগিত ছিল।

বৃহস্পতিবার উপজেলার ফতুল্লার এনায়েতনগর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ, পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তবে ঘটনা সম্পর্কে র‌্যাব-১১ এর পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য দেওয়া হয়নি।

ঘটনাস্থলে গিয়ে শামীম ওসমান বলেন, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের লাঠিপেটার ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত বলে মনে হচ্ছে। তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত র‌্যাব-১১ এর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছেন। তার বক্তব্যে সন্তুষ্ট নন এই সাংসদ।

র‌্যাবের লাঠিপেটায় গুরুতর আহত রাকিব নামের এক ছাত্রলীগ কর্মী শামীম ওসমানের কাছে অভিযোগ করেন, র‌্যাব আসার পর তারা নিজেদের ছাত্রলীগ কর্মী বলে পরিচয় দেন। এতে র‌্যাব আরও বেশি লাঠিপেটা করে।

জানা গেছে, দুপুরে রিয়াদের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন ওই কেন্দ্রে প্রবেশ করেন। তারা কেন্দ্রটি দখল করতে পারেন আশঙ্কা করে প্রতিদ্বন্দ্বী মেম্বার প্রার্থী জাকারিয়া জাকিরের কর্মী-সমর্থকরা তাদের মারধর করে। ওই সময় তারা কেন্দ্রের বাথরুমে গিয়ে আশ্রয় নেন। কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় র‌্যাব ও পুলিশ। র‌্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে গেলে জাকারিয়ার লোকজন রিয়াদ ও তার কর্মীরা কেন্দ্র দখল করতে এসেছে বলে অভিযোগ করেন। ওই সময় র‌্যাব অবরুদ্ধ রিয়াদ ও তার সহকর্মীদের বাথরুম থেকে বের করে বেধড়ক লাঠিপেটা করে।

ঘটনার পর র‌্যাব এনায়েত নগর ইউনিয়নের ২ মেম্বার প্রার্থী জাকারিয়া ও শাহজাহান মাতবরকে আটক করে নিয়ে যায়। র‌্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে। এ ছাড়া নির্বাচনে বন্দরের মুছাপুর ও কলাগাছিয়া ইউনিয়নে বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার জেলার ১৬টি ইউনিয়নের ভোট হয়েছে।

আরও পড়ুন

×