শেরপুরের তিন উপজেলায় হবে হাতি অভয়াশ্রম: পরিবেশ সচিব

শেরপুরের শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার হাতি চলাচলের এলাকাকে বন্যহাতির অভয়াশ্রম করার প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এই এলাকায় কোনোভাবেই বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হাতি মারা যাবে না। যদি কেউ এই কাজ করেন, তবে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

মানুষ ও বন্য হাতির দ্বন্দ্ব নিরসনে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার মধুটিলা ইকোপার্কে ময়মনসিংহ বন বিভাগ মঙ্গলবার সকালে সচেতনতামূলক সভার আয়োজন করে। ওই সভার প্রধান অতিথি  পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের সচিব মোস্তফা কামাল এসব কথা জানান।

সভায় সভাপতিত্ব করেন বন বিভাগের প্রধান বন সংরক্ষক আমীর হোসাইন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন বন সংরক্ষক (কেন্দ্রীয় অঞ্চল- ঢাকা) আরএসএম. মুনিরুল ইসলাম, ময়মনসিংহ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা একেএম. রুহুল আমীন।

ওই আয়োজনে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের সচিব মোস্তফা কামাল এই ঘোষণা দেন।

তিনি জানান, বন্য হাতির আক্রমনে ফসলের ক্ষতিপূরণ বাবদ কৃষকদের ৫০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হবে।

ওই সভায় কর্মকর্তারা বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, বন্য হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তি যদি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কর্তৃপক্ষকে জানান তাহলে তারা তদন্ত করে ১৫ দিনের মধ্যেই ক্ষতিপূরণ দেবেন। 

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নালিতাবাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান মোকছেদুর রহমান লেবু, ঝিনাইগাতী উপজেলা চেয়ারম্যান এএসএম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেস নাইম, শ্রীবরদী উপজেলা চেয়ারম্যান এডিএম শহিদুল ইসলাম, নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হেলেনা পারভীন, ঝিনাইগাতীর ওসি বিপ্লব কুমার বিশ্বাস। 

পরে পরিবেশ সচিব মোস্তফা কামাল ৩২ জন উপকারভোগীর মাঝে সামাজিক বনায়নের লভ্যাংশের ১ কোটি ৯ লাখ ৯৬ হাজার ৫৬২ টাকার চেক, এলিফেন্ট রেসপন্স টিমের সদস্যদের মাঝে বিভিন্ন উপকরণ ও গত এপ্রিল মাসে বন্য হাতির আক্রমণে নিহত অপুর্ব চাম্বুগংয়ের পরিবারের সদস্যদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৩ লাখ টাকার চেক বিতরণ করেন।