হোমনায় যুবলীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা

সালাউদ্দিন ওরফে জহির
বাঞ্ছারামপুর ( ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ০৩:৫৭ | আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ০৩:৫৭
কুমিল্লার হোমনায় এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও ডিস ব্যবসাকে কেন্দ্র করে সালাউদ্দিন ওরফে জহির (২৬) নামে এক যুবলীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার আসাদপুর ইউনিয়নের ঘনিয়ারচর গ্রামে বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবলীগ কর্মী ঘনিয়ারচর গ্রামের রেনু মিয়ার ছেলে ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড (ঘনিয়ারচর) আওয়ামী লীগ সভাপতি শহিদুল্লাহর ভাতিজা।
নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সালাউদ্দিন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সিদ্দিকুর রহমানের পক্ষে কাজ করেন। অপরদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বর্তমান চেয়ারম্যান জালাল পাঠান নির্বাচন করেন। এ নিয়ে জালাল পাঠানোর সঙ্গে সালাউদ্দিন ও তার পরিবারের বিরোধ দেখা দেয়। এর জেরে বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে জালাল পাঠানের লোকজন সালাউদ্দিনেকে একা পেয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় এলাকাবাসী উদ্ধার করে হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত একটায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের বড় বোন পারুল আক্তার জানায়, নৌকায় ভোট দেওয়ার অপরাধে তার ভাই জহিরকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে জালাল পাঠান, মুকবল পাঠান ও তাদের অনুসারীরা।
নিহতের চাচা আসাদপুর ইউনিয়নের ঘনিয়ারচর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. শহিদুল্লাহ জানান, তার ভাতিজা জহির নৌকার প্রার্থী মো. ছিদ্দিকুর রহমানের সমর্থক ছিল। এর জের ধরে তাকে কুপিয়ে জখম করা হয়।
হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কায়েছ আকন্দ জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, গত ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জালাল চেয়ারম্যান ও সালাউদ্দিন এর মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এ ছাড়াও ডিস ব্যবসা নিয়েও বিরোধ ছিল। এর জের ধরে জহিরকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি।