কচুরমুখির ভেতরে সাড়ে ১৮ হাজার ইয়াবা, ৩ বোন গ্রেপ্তার

চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ০৭:২১ | আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ০৭:২২
ইয়াবা পাচারে মাদক ব্যবসায়ীদের সৃজনশীল কৌশলগুলো চমকে দেওয়ার মতো। এর আগে নানা পন্থায় ইয়াবা পাচার হলেও এবার তিন বোনের কৌশলের কাছে হার মেনেছে সব। ইয়াবা পাচার করতে গিয়ে কচুরমুখি নিয়ে ধরা পড়েছেন তিন বোন। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি সেই কচুরমুখিগুলোর ছোট্ট পেটে মিলেছে ১৮ হাজার ৬০০ পিস ইয়াবা। বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রাম হাটহাজারীর মদুনাঘাট হয়ে নগরে প্রবেশের মুখে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন তারা।
তিন বোন হলেন-কক্সবাজার জেলার সদর থানার রুমালিয়া ছড়ার ফাতেমা বেগম ওরফে মনু ওরফে আনোয়ারা (৪০), হালিমা বেগম (৩২) ও আসমাউল হুসনা (২৬)।
র্যাব-৭ জানায়, আসামিরা ৮ বোন। সবাই মাদক পাচারে জড়িত। তারা মাদক পাচারে অত্যন্ত দক্ষ। আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর তল্লাশি চৌকি এড়াতে নানা পন্থা অবলম্বন করেন তারা। কক্সবাজার থেকে তারা সোজা পথে না এসে ফাঁসিয়াখালী থেকে লামা ও লোহাগাড়া হয়ে সাতকানিয়ার কেরানি হাটে এসে মিলিত হন। এরপর একদল কেরানিহাট থেকে বান্দরবান, রাঙ্গুনিয়া, রাউজান ও হাটহাজারী হয়ে চট্টগ্রাম শহরে প্রবেশ করেন। অন্যদল সরাসরি চট্টগ্রাম শহরে চলে আসেন। যেন একদল ধরা পড়লেও অন্যদল নিরাপদে থাকেন।
র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ বলেন, ‘নগরের প্রবেশমুখে হাটহাজারী এলাকায় একটি তল্লাশি চালানো হচ্ছিল। একটি সিএনজি অটোরিকশা থেকে তিনজন নারী নেমে পালানোর চেষ্টা করে। পরে তাদেরকে আটক করে তল্লাশি চালানো হয়। তাদের সঙ্গে থাকা একটি শপিং ব্যাগে কিছু কচুরমুখি পাওয়া যায়। পরে কচুরমুখিগুলো ভেঙ্গে দেখা যায় তার ভেতরে ইয়াবা রয়েছে। কচুরমুখিগুলো বিশেষ কায়দায় কেটে ভেতরে খোল করে ফেলা হয়। এবার পলিথিনে মুড়িয়ে ইয়াবা রেখে কচুরমখিগুলো আবার গাম দিয়ে লাগিয়ে দেওয়া হয়। এতে বোঝার উপায় নেই ভেতরে কিছু থাকতে পারে। গোয়েন্দা তথ্য না থাকলে তাদের কোনভাবে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হতো না।’
- বিষয় :
- ইয়াবা পাচার
- কচুরমুখি
- তিন বোন
- গ্রেপ্তার
- চট্টগ্রাম