ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদন
এলএনজি কেনায় ব্যয় বাড়ছে সরকারের

ছবি: ফাইল
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪ | ০২:৪৩
গত এপ্রিল মাসে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) প্রতি ইউনিট ১০ ডলারের কমে কিনেছে সরকার। তবে বর্তমানে তা বেড়ে ১৩ দশমিক ৫৬ ডলারে দাঁড়িয়েছে। গতকাল বুধবার এ বাড়তি দরে এক কার্গো এলএনজি কেনার প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
সরকারের সঙ্গে মাস্টার সেলস অ্যান্ড পারচেজ এগ্রিমেন্ট করা দেশগুলোর মধ্য থেকে কোটেশন সংগ্রহ প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেটের আওতায় সংগ্রহ করে তা সরবরাহ করবে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এক্সেলরেট এনার্জি।
গতকাল সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত একটিসহ
মোট ৯টি ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয়) মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, স্পট মার্কেট থেকে এক কার্গো এলএনজি আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ট্যাক্স-ভ্যাটসহ মোট ৬০৯ কোটি ২৭ লাখ টাকা ব্যয়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এক্সেলরেট এনার্জি এই এলএনজি সরবরাহ করবে। এ ক্ষেত্রে প্রতি ইউনিট (এমএমবিটিইউ) ১৩ দশমিক ৫৬ ডলার পড়বে। আগের লটে যা ছিল ১২ দশমিক ৯৭ ডলার।
এদিকে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ৩ এপ্রিল প্রতি ইউনিট ৯ দশমিক ৬৮ ডলার দরে সিঙ্গাপুরভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ভিটল এশিয়া থেকে এক কার্গো এলএনজি কেনার প্রস্তাব অনুমোদন করে ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
বৈঠকে আরও বেশ কয়েকটি প্রস্তাব অনুমোদন হয়েছে। এর মধ্যে সিলেট-১১ উন্নয়ন কূপ ও রশিদপুর-১৩ অনুসন্ধান কূপ খননের কাজ দেওয়া হয়েছে চীনের চিনোপ্যাক ইন্টারন্যাশনাল পেট্রোলিয়াম সার্ভিস করপোরেশনকে। কূপগুলো সিলেট গ্যাসফিল্ড কোম্পানির আওতায়। চীনের এই কোম্পানির সঙ্গে ৪৪৪ কোটি ৮৫ লাখ ৭৯ হাজার ৮৯৩ টাকায় চুক্তিবদ্ধ হওয়ার অনুমোদন পেয়েছে সিলেট গ্যাস ফিল্ড।
এ ছাড়া ঢাকা সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের জন্য চারটি বহুতল ভবন নির্মাণের ব্যয় ৪৭ কোটি ৭১ লাখ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাবও অনুমোদন করা হয়েছে। ঢাকার গাবতলীতে নির্মাণ হতে যাওয়া ভবন চারটির জন্য খরচ ধরা হয়েছিল ১৮২ কোটি টাকার কিছু বেশি। নির্মাণ ব্যয়ে তৃতীয় সংশোধনীতে ব্যয় দাঁড়াল ২৩০ কোটি টাকা।
এ ছাড়াও সৌদি আরবের মাদায়েন থেকে ৪০ হাজার টন ডিএপি এবং রাশিয়ার প্রোডিংটন থেকে ৩০ হাজার টন এমওপি সার কেনার প্রস্তাব অনুমোদন পেয়েছে। এসব সার আমদানিতে ব্যয় হবে ৩৪৪ কোটি ৩৮ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
- বিষয় :
- এলএনজি
- এলএনজি সরবরাহ