তিন দেশ থেকে আনা হচ্ছে ১ লাখ ৫ হাজার টন সার

ছবি: ফাইল
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২৫ | ০৪:১৫ | আপডেট: ২৬ জুন ২০২৫ | ০৬:১৪
সার, গম, তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) এবং অকটেন আমদানির ৭টি ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১ হাজার ৬২৬ কোটি টাকা। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির এসব প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, ‘ক্রয় কমিটির বৈঠকে গম কেনার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। এই কেনাকাটায় ১৮ কোটি থেকে ২০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। চাল গমের যে মজুত আছে, সেটা এখনও সন্তোষজনক। তবু আমরা বলেছি ৫০ হাজার টন গম এনে রাখার জন্য, যাতে খাদ্যের কোনো ঘাটতি না হয়।’
তিনি বলেন, ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের কারণে হরমুজ প্রণালি দিয়ে পণ্য পরিবহন বিঘ্নিত হওয়ার শঙ্কা থাকলেও বাংলাদেশের পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে এখনও কোনো প্রভাব পড়েনি। মরক্কো, তিউনিসিয়া থেকে আসা সারের দামও কিছুটা বেড়েছে।
সরকারি বিতরণ ব্যবস্থা সচল রাখাসহ খাদ্য নিরাপত্তা বলয় সুসংহত রাখার লক্ষ্যে জিটুজি ভিত্তিতে এবং আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ৫০ হাজার টন গম ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে এই গম আনতে ব্যয় হবে ১৬৮ কোটি ৮২ লাখ টাকা।
এছাড়া কানাডা, তিউনিসিয়া ও মরক্কো থেকে এক লাখ ৫ হাজার টন সার আমদানি করবে সরকার। এর মধ্যে কানাডা থেকে ৪০ হাজার টন এমওপি, তিউনিসিয়া থেকে ২৫ হাজার টন টিএসপি এবং মরক্কো থেকে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার রয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ৬৮১ কোটি টাকা। আন্তর্জাতিক কোটেশনের মাধ্যমে স্পট মার্কেট থেকে এক কার্গো এলএনজি আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। সিঙ্গাপুরের ভিটল এশিয়া থেকে ৫৬৯ কোটি ২৯ হাজার ৩৬৩ টাকা ব্যয়ে এ এলএনজি আমদানি হবে।
এদিকে চলতি জুন মাসে ২৫ হাজার টন গ্যাসোলিন ৯৫ আনলেডেড (অকটেন) আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। ইন্দোনেশিয়া থেকে এই অকটেন আমদানিতে ব্যয় হবে ২০৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।
- বিষয় :
- এলএনজি
- সার রপ্তানি