সাগর-রুনি হত্যা
১০ বছর পর আসামিদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে রুল শুনানির উদ্যোগ

ছবি: ফাইল
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪ এপ্রিল ২০২২ | ০৫:৩৪ | আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০২২ | ১৩:১৮
সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনিকে নির্মমভাবে খুনের ঘটনায় হাইকোর্টের জারি করা রুল ১০ বছর পর শুনানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি আহমেদ সোহেল সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আজ সোমবার রুলটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হয়। পরে আদালত মঙ্গলবারের কার্যতালিকায় রুলটি অর্ন্তভুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন।
সাংবাদিক দম্পতি হত্যাকাণ্ডের পর আসামিদের শনাক্ত করাসহ সুষ্ঠু তদন্তের বিষয়ে হাইকোর্টে রিটকারী সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ রুলটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, রুলটি শুনানির জন্য হাইকোর্টে উপস্থাপন করা হয়েছিল। হাইকোর্ট জানিয়েছেন, মঙ্গলবারের কার্যতালিকায় বিষয়টি শুনানির জন্য আসবে।
তিনি আরও জানান, নিয়ম অনুযায়ী কার্যতালিকার ক্রমানুসারে রুলের শুনানি হবে। এক্ষেত্রে দুই-একদিনের মধ্যে এর শুনানি হতে পারে।
এক প্রশ্নের জবাবে মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘সাগর-রুনি মামলার তদন্ত সঠিকভাবে করা এবং আসামিদের আইনের আওতায় আনার জন্য ২০১২ সালে আমরা একটা রিট দায়ের করেছিলাম। ওই রিটের শুনানি নিয়ে ওই বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি আদালত রুল জারি করেন। রুলে সাগর-রুনি হত্যা মামলা তদন্ত করে আসামিদের আইনের আওতায় আনার জন্য কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছিল। এরপর অপর একটি আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলার তদন্তভার র্যাবকে দেওয়া হয়। তখন থেকে মামলাটির আর কোনো অগ্রগতি হয়নি। এ জন্য রুলটি শুনানির জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।'
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই তদন্তকাজ কোন পর্যায়ে আছে, আসামি শনাক্ত হয়েছে কি-না এসব বিষয় আদালতের মাধ্যমে আমাদেরকে জানানো হোক।’
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনিকে তাদের ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন করা হয়। এ ঘটনার পরদিন রুনির ভাই নওশের আলী রোমান বাদী হয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত এবং আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য জনস্বার্থে ২০১২ সালে হাইকোর্টে রিট করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)। পরে ওই বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ১০ বছর পর সোমবার ওই রুল শুনানির জন্য হাইকোর্টে উপস্থাপন করা হয়েছে।
এদিকে ঢাকার আদালতে বিচারাধীন এ মামলায় এখনও পর্যন্ত ৮৭ বার সময় নিয়েও তদন্তকারী কর্মকর্তা চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। আগামী ২৬ এপ্রিল ঢাকার মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেদাস চন্দ্র অধিকারীর আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য রয়েছে। এই মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আসামি ৮ জন। অপর আসামিরা হলেন- বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুন, পলাশ রুদ্র পাল, তানভীর ও আবু সাঈদ। আসামিরা সবাই জামিনে আছেন।