ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

মেজর পরিচয়ে ব্যাংকের অর্থ আত্মসাৎ করেন সাহেদ

মেজর পরিচয়ে ব্যাংকের অর্থ আত্মসাৎ করেন সাহেদ

রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল ২০২২ | ০৭:৪৮ | আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২২ | ০৯:০২

সেনাবাহিনীর মেজর পরিচয়ে রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ এনআরবি ব্যাংক থেকে ঋণের নামে দেড় কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। ঋণ নেওয়ার সময় তিনি যে এনআইডি ব্যবহার করেছেন সেটি জাল প্রমাণিত হয়েছে।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সচিব মো. মাহবুব হোসেন মঙ্গলবার ঢাকায় কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

ঋণের জন্য ব্যাংকের নথিতে মেজর পরিচয় দেওয়া ও জাল এনআইডি প্রসঙ্গে দুদক উপপরিচালক তদন্ত কর্মকর্তা সৈয়দ নজরুল ইসলাম কেরানীগঞ্জের জেলগেটে সাহেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

এনআরবি ব্যাংক থেকে লাইসেন্স নবায়নবিহীন রিজেন্ট হাসপাতালের জন্য ঋণের নামে ১ কোটি ৫১ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও অর্থ পাচারের অভিযোগে হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদসহ চারজনের বিরুদ্ধে দুদক মামলা করেছিল ২০২০ সালের ২২ জুলাই। ওই মামলার তদন্ত পর্যায়ে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলো। শিগগির মামলার তদন্ত প্রতিবেদন কমিশনে দেওয়া হবে। কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে মামলাটির অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হবে।

দুদক সচিব সাংবাদিকদের বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা মামলার প্রয়োজনে সাহেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। তদন্তে পাওয়া গেছে, তিনি এনআরবি ব্যাংক থেকে ঋণ পেতে জাল এনআইডি ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজরের পরিচয় ব্যবহার করে আত্মসাৎ করেছেন।

সচিব আরও বলেন, এনআরবি ব্যাংকে জমা দেওয়া এনআইডি যাচাইকালে সেটি জাল বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। নির্বাচন কমিশনের ডাটাবেজে এ এনআইডির নম্বর ব্যবহার করে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। সাহেদের নাম ও অন্য তথ্য ব্যবহার করে অনুসন্ধান চালিয়ে তার নামে দুটি এনআইডি নম্বর পাওয়া গেছে। যার একটি লক করা ও অন্যটি ডুপ্লিকেট হিসেবে কর্তন করা অবস্থায় রয়েছে।

জানা যায়, ঋণের জন্য এনআরবি ব্যাংকে জমা দেওয়া নথিপত্র যাচাই করে দেখা গেছে, সাহেদ সেখানে কর্মজীবনের পরিচয়ের জায়গায় বর্ণনা দিয়েছেন তিনি ১৯৮৩ সালের বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে ২০০১ সালে মেজর হিসেবে অবসর নেন। ব্যাংকে সরবরাহ করা জাতীয় পরিচয় পত্রের কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। 

আরও পড়ুন

×