ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

'মাসুদ রানা' ও 'কুয়াশা' সিরিজ

আপিল করার অনুমতি পেলেন কাজী আনোয়ার হোসেনের উত্তরাধিকারীরা

আপিল করার অনুমতি পেলেন কাজী আনোয়ার হোসেনের উত্তরাধিকারীরা

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ আগস্ট ২০২২ | ০৬:৩০ | আপডেট: ০৮ আগস্ট ২০২২ | ০৬:৩০

জনপ্রিয় 'মাসুদ রানা' সিরিজের ২৬০টি বই এবং 'কুয়াশা' সিরিজের ৫০টি বইয়ের স্বত্বাধিকারী নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সেবা প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী কাজী আনোয়ার হোসেনের উত্তরাধিকারীদের আপিল করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি উল্লেখিত দুটি সিরিজের বিষয়ে রেজিস্ট্রার অব কপিরাইটসের ২০২০ সালের ১৪ জুন দেওয়া সিদ্ধান্তের কার্যক্রমও স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়া বই বিক্রির বিষয়ে স্থিতাবস্থা বজায় থাকবে।

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের তিন সদস্যের বেঞ্চ সোমবার সেবা প্রকাশনীর পক্ষে করা লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবদন) মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন। আদালতে সেবা প্রকাশনীর আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মুরাদ রেজা ও হামিদুল মিসবাহ। রেজিস্ট্রার অব কপিরাইটসের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ও মো. ইফতাবুল কামাল।
পরে আইনজীবী হামিদুল মিসবাহ সাংবাদিকদের বলেন, 'হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে কাজী আনোয়ার হোসেনের দুই ছেলে ও নাতনির লিভ টু আপিল মঞ্জুর করেছেন আপিল বিভাগ। বই বিক্রির বিষয়েও স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে বলা হয়েছে।'
২০২০ সালের ১৪ জুন কপিরাইট অফিস বইগুলোর প্রকাশ বা বাণিজ্যিক কার্যক্রম গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে সেবা প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারীর প্রতি নির্দেশ দেন। পাশাপাশি 'মাসুদ রানা' সিরিজের ২৬০টি ও 'কুয়াশা' সিরিজের ৫০টি বইয়ের লেখক হিসেবে শেখ আবদুল হাকিমের স্বত্ব পাওয়ার বিষয়ে কয়েকটি পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়। এ কারণে লেখক হিসেবে তার স্বত্ব পাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। এ পর্যায়ে রেজিস্ট্রার অব কপিরাইটসের ওই সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০২০ সালের আগস্ট মাসে হাইকোর্টে রিট করেন কাজী আনোয়ার হোসেন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ১০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট রুল দিয়ে 'মাসুদ রানা' ও 'কুয়াশা' সিরিজের কিছু বইয়ের বিষয়ে কপিরাইট অফিসের দেওয়া আদেশ অন্তবর্তীকালীন সময়ের জন্য স্থগিত করেন। পরে রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রিট খারিজ করে রায় দেন। ফলে কপিরাইট অফিসের সিদ্ধান্তের ওপর হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশও প্রত্যাহার হয়। অর্থাৎ কপিরাইট অফিসের সিদ্ধান্ত বহাল থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার অনুমিত চেয়ে আবেদন করেন কাজী আনোয়ার হোসেনের উত্তারাধিকারীরা। বিষয়টি এখন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। এরমধ্যে গত আগষ্ট থেকে জানুয়ারি মধ্যে কাজী আব্দুল হাকিম এবং কাজী আনোয়ার হোসেন অথাৎ বাদী ও বিবাদীরা মারা যান। তাদের পক্ষে এখন উত্তারাধীকারীরা আইনী লড়াইয়ে অবতীর্ন হয়েছেন।

আরও পড়ুন

×