হুমায়ূনহীন ১১ বছর

সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮ জুলাই ২০২৩ | ১৮:০০
পাখির কলকাকলি, লীলাবতী দিঘির স্বচ্ছ জল, ঔষধি বাগান, সবুজে আচ্ছাদিত ছাতিম গাছ, লেখার টেবিল, থরে থরে সাজানো বই, রাজহাঁসের দল। গাজীপুর সদর উপজেলার পিরুজালী গ্রামে অবস্থিত নন্দনকানন নুহাশপল্লীর প্রান্তরজুড়ে সবই আছে আগের মতো; শুধু নেই এর স্রষ্টা হুমায়ূন আহমেদ। বাংলাদেশের সাহিত্য অঙ্গনের প্রবাদপ্রতিম কথাসাহিত্যিক ও জনপ্রিয় চলচ্চিত্রকার হুমায়ূন আহমেদকে হারানোর ১১ বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ বুধবার। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ২০১২ সালের এই দিনে প্রিয় স্বদেশ থেকে বহু দূরে নিউইয়র্কের বেলভিউ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তবে নিজের লেখায় হিমু, মিসির আলি, শুভ্রর মতো অসংখ্য জনপ্রিয় চরিত্র তৈরি করে আজও তিনি বেঁচে আছেন পাঠক হৃদয়ে।
হুমায়ূন আহমেদ ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর কুতুবপুরে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা মুক্তিযুদ্ধে শহীদ পুলিশ কর্মকর্তা ফয়জুর রহমান আহমেদ ও মা আয়েশা ফয়েজের প্রথম সন্তান তিনি। তিন ভাই দুই বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। খ্যাতিমান লেখক শিক্ষাবিদ ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল তাঁর অনুজ। ছোট ভাই আহসান হাবীব নাম করা কার্টুনিস্ট ও রম্য লেখক।
শুধু গল্প-উপন্যাসেই যে হুমায়ূন তুঙ্গস্পর্শী জনপ্রিয়তা পেয়েছেন, এমন নয়। তিনি একাধারে ছিলেন চলচ্চিত্রকার, টিভি নাট্যকার, গীতিকার। তাঁর লেখা উল্লেখযোগ্য উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে– নন্দিত নরকে, শঙ্খনীল কারাগার, শ্রাবণ মেঘের দিন, জোছনা ও জননীর গল্প, কবি, লীলাবতী, গৌরীপুর জংশন, এইসব দিনরাত্রি। তাঁর পরিচালিত চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে– আগুনের পরশমণি, দুই দুয়ারী, শ্রাবণ মেঘের দিন, শ্যামল ছায়া, আমার আছে জল, নয় নম্বর বিপদ সংকেত, ঘেটুপুত্র কমলা। তাঁর লেখা জনপ্রিয় টিভি নাটকের মধ্যে আছে– এইসব দিনরাত্রি, অয়োময়, বহুব্রীহি, কোথাও কেউ নেই ইত্যাদি।
বাংলা সাহিত্যে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ হুমায়ূন পেয়েছেন একুশে পদক, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারসহ বহু পুরস্কার ও সম্মাননা। এ ছাড়াও পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, বাচসাস পুরস্কার।
- বিষয় :
- হুমায়ূন আহমেদ
- মৃত্যু
- দিবস