ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

আঞ্চলিক জলবায়ু সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্পিকার

জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় আঞ্চলিক সহযোগিতা জরুরি

জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় আঞ্চলিক সহযোগিতা জরুরি

শুক্রবার রাজধানীর একটি হোটেলে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো নিয়ে আঞ্চলিক জলবায়ু সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। ছবি: সমকাল

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৩:৩৯ | আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৫:৫৮

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, জলবায়ুর প্রভাব ও সম্ভব্য ঝুঁকি নিয়ে সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এটা কোনো দেশের পক্ষে এককভাবে মোকাবিলা করা  সম্ভব নয়। সে কারণেই বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার করা জরুরি।

শুক্রবার রাজধানীর একটি হোটেলে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো নিয়ে আঞ্চলিক জলবায়ু সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

ক্লাইমেট পার্লামেন্ট, দ্য আর্থ, অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন এবং ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশ আয়োজিত তিন দিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য স্পিকার বলেন, বৈশ্বিক পরিবেশ দূষণে বাংলাদেশের অবদান সর্বনিম্ন হলেও পরিবেশগত ঝুঁকির দিক থেকে সবচেয়ে উপরে অবস্থান করছে। ঝুঁকি রোধে উদ্ভাবনী টেকসই সমাধান খুঁজতে হবে।  

উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূত ও ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশের প্রধান পৃষ্ঠপোষক সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি বলেন, বাংলাদেশই একমাত্র দেশ যা একটি গ্রহগত জরুরি পরিস্থিতিতে পদক্ষেপ নেয়। একটি টেকসই ভবিষ্যতের জন্য বিনিয়োগের প্রতি আগ্রহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশের আহবায়ক নাহিম রাজ্জাক এমপি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে আজ আমাদের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রজন্মকে বাঁচাতে দরকার সমন্বিত উদ্যোগ। দক্ষিণ এশিয়ায় জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় যৌথ অঙ্গীকারের জন্য আমরা সম্মিলিত হয়েছি। 

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন পিকেএসএফ এর চেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, ক্লাইমেট পার্লামেন্ট ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান ড. সঞ্জয় জৈশাল, ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশের চেয়ারপারসন তানভির শাকিল জয় প্রমুখ।  

তিন দিনব্যাপী এ আয়োজনে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত, ভুটান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপসহ বিভিন্ন দেশের সংসদ সদস্য, রাষ্ট্রদূত, শীর্ষ পর্যায়ের নীতিনির্ধারকরা অংশ নিয়েছেন। 

ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশ, দ্য আর্থ সোসাইটি, অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন (ওআরএফ) ও ক্লাইমেট পার্লামেন্টের যৌথ আয়োজনে এ সম্মেলনে কৌশলগত পার্টনার হিসেবে থাকছে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, ইউএনডিপি বাংলাদেশ। বিভিন্ন সেশনের লিড অর্গানাইজেশন হিসেবে থাকছে একশনএইড বাংলাদেশ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, নেদারল্যান্ডস দূতাবাস, সুইজারল্যান্ড দূতাবাস, শক্তি ফাউন্ডেশন ও ইউএসএআইডি। গোল্ড স্পনসর হিসেবে থাকছে কোকা-কোলা ও গ্রামীণফোন। কো-লিড অর্গানাইজেশন হিসেবে থাকছে এএফডি- ফ্যান্স এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট ও চেইঞ্জ ইনিশিয়েটিভ। সাসটেইনেবল ইনভেস্টমেন্ট পার্টনার হিসেবে থাকছে স্ট্যান্ডার্ট চাটার্ড ব্যাংক ও সাসটেইনেবিলিটি পার্টনার হিসেবে থাকছে ইউনিলিভার। পার্টনার হিসেবে থাকছে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স, সেন্টার ফর অ্যাটমোস্ট অ্যাটমোস্ফিয়ারিক পলিউশন স্ট্যাডিজ, সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল এন্ড জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সার্ভিসেস, শক্তি ইনস্টিটিউট-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সাউথ এশিয়ান জাস্ট ট্রানজিশন অ্যালায়েন্স, ঢাকার মার্কিন দূতাবাস, ওয়াটারএইড এবং ইয়ুথ ফর কেয়ার প্ল্যাটফর্ম।

আরও পড়ুন

×