সিএসএ পাসের আগে ‘নিপীড়নমূলক’ ধারা বাতিলের দাবি

সাইবার নিরাপত্তা আইন (সিএসএ) পাসের আগে নিপীড়নমূলক ধারা বাতিল ও  বিতর্কিত ধারা সংশোধন করার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও এর অধীন ১৮টি অঙ্গ সংগঠন। এসব সংগঠনের নেতারা পরোয়ানা ছাড়া গ্রেপ্তার, তল্লাশি ও  ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস জব্দের ক্ষমতাসহ ‘নিপীড়নমূলক ধারা’ বহাল রেখে সাইবার নিরাপত্তা আইন পাসের উদ্যোগের প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

রোববার ১৯টি সংগঠনের নেতারা এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।

সাংবাদিক নেতারা বলেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগ, মতামত ও প্রস্তাবনা উপেক্ষা করে দমনমূলক ধারাসহ আইনটি সংসদে পাস করা হলে তা সাংবাদিক সমাজের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না 

তারা বলেন, জাতীয় সংসদে উত্থাপিত সাইবার নিরাপত্তা বিলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রহিতকরণের কথা বলা হলেও এই আইনের অধীন তদন্ত ও বিচারাধীন ৬ হাজার মামলা ডিজিটাল আইন অনুযায়ী বিচারের বিধান রাখা স্ববিরোধিতা এবং অসৎ উদ্দেশ্য প্রণোদিত।

বিবৃতিতে বিএফইউজের পক্ষ থেকে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগে দেওয়া প্রস্তাবনা এবং সর্বশেষ ৭ সেপ্টেম্বর সংসদীয় কমিটিতে উত্থাপিত ১৪ দফা পর্যবেক্ষণ আমলে নিয়ে সাইবার নিরাপত্তা আইনটি পুনর্বিন্যাসের দাবি জানানো হয়। তা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করে ‘নতুন কালাকানুনের’ বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত থাকবে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। 

বিএফইউজের সভাপতি এম আবদুল্লাহ ও মহাসচিব নুরুল আমিন রোকনসহ বিবৃতিদাতা সংগঠন ও নেতাদের মধ্যে রয়েছেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি শহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিএমইউজে) সভাপতি মোহাম্মদ শাহনওয়াজ ও সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান, রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের (আরইউজে) সভাপতি মুহাম্মদ আবদুল আউয়াল ও সাধারণ সম্পাদক ড. সাদিকুল ইসলাম স্বপন, মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন খুলনার (এমইউজে-খুলনা) সভাপতি আনিসুজ্জমান ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান হিমালয় প্রমুখ।