কারো ব্যবসার ক্ষতি করা উদ্দেশ্য নয়: বিএফএসএ চেয়ারম্যান

সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৫:২১ | আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৬:০১
বুধবার রাজধানীর শাহবাগস্থ বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ভবনে আয়োজিত ‘নিউট্রেশন লেভেলিং অব প্রসেস ফুড’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
সেমিনারে খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইউম সরকার বলেন, খাদ্য অবশ্যই নিরাপদ হতে হবে। যেটা নিরাপদ না সেটিকে কখনও খাদ্য বলা যাবে না। আপনি যখন কোনো পণ্য বিক্রি করবেন সেটা সম্পূর্ণ নিরাপদ নিশ্চিত হয়ে বিক্রি করতে হবে এবং লেবেলিংয়ের মাধ্যমে খাদ্যের উপাদান এবং পুষ্টিগুণ সম্পর্কে সবকিছু জানাতে হবে। কারণ, ভোক্তার অধিকার আছে সে কী খাচ্ছে এবং তাতে কী পুষ্টিগুণ আছে সেগুলো জানার। ভোক্তা যদি তার খাবারে লেবেলিংয়ের সঠিক পুষ্টিগুণ না পায় তাহলে ভোক্তা আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারে।
নিউট্রিশন সম্পর্কে লেবেলিংয়ে বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষায় স্পষ্ট অক্ষরে খাদ্যের উপাদান লেখা থাকতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, পণ্যের লেবেলিংয়ে সকল তথ্য দিতে হবে। বিভিন্ন খাবারে এলার্জি থাকে, তাই খাবারে এলার্জি আছে কিনা তা হাইলাইট করে লিখতে হবে। কোন খাবারে নিউট্রিশন, ফ্যাট, লবণ, চিনি কী পরিমাণে আছে তা বড় করে লিখতে হবে যাতে সহজেই দেখা যায়৷ যদি ইংরেজিতে কেউ লেবেলিং করে তাকে বাংলায়ও লিখতে হবে।
লেবেলিং ও বিজ্ঞাপন প্রবিধানমালার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, টেলিভিশন, পত্রিকা বা অন্যান্য মাধ্যমে অতিরঞ্জিত কোনো বিজ্ঞাপন দেয়া যাবে না। বিজ্ঞাপনের নীতিমালা তৈরি হচ্ছে। অতিরঞ্জিত যেসকল বিজ্ঞাপন আছে সেগুলোও সরাতে হবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য আবু নূর মোহাম্মদ শামসুজ্জামান অনিরাপদ খাদ্য সরবরাহে নৈতিকতার অভাবকে দায়ী করে বলেন, নিরাপদ খাদ্য সরবরাহে আমাদের কী শুধু জ্ঞানের বা প্রশিক্ষণের অভাব? আসলে কিন্তু তা না। আমরা অনেকে জেনে-শুনে বেশি অর্থ লাভের আশায় অনিরাপদ খাদ্য সরবরাহ করে থাকি। আসলে আমাদের নৈতিকতার অভাব। এই নৈতিকতার জায়গাগুলো আমরা যদি নিজেরা নিজেদের কাছে কমিন্টমেন্ট করতে না পারি তাইলে নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ সম্ভব না।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সাবেক সদস্য মো. রেজাউল করিম। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য মঞ্জুর মোর্শেদ আহমেদ। এ ছাড়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন খাদ্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী ও বিভিন্ন এনজিওর প্রতিনিধিরা।