ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

শিমরাইলের চিরচেনা চাপ উধাও

ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট মহাসড়ক

শিমরাইলের চিরচেনা চাপ উধাও

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক মঙ্গলবার ছিল এমনই ফাঁকা। শিমরাইল মোড়ে দুপুরের চিত্র ছবি: সমকাল

শাহজাহান জনি, সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)

প্রকাশ: ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | ২০:০৪

একুশে পরিবহনের বাস চলাচল করে ঢাকা থেকে নোয়াখালী-সেনাগাজী রুটে। প্রতি বছর ঈদের দুই দিন আগে তাদের কর্মীদের যাত্রীর চাপ সামলাতে নাজেহাল হতে হয়। অথচ মঙ্গলবার দুপুরে ওই পরিবহনের শিমরাইল কাউন্টারের কর্মীরা ডেকে ডেকেও যাত্রী পাচ্ছিলেন না। 

একই অবস্থা দেখা যায় ঢাকা-লক্ষ্মীপুর রুটের জোনাকী পরিবহনের কাউন্টারে। তাদের কর্মীদেরও দেখা গেছে যাত্রীদের জন্য হাঁকডাক করতে। 

পরিবহনখাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা যাত্রীর আকালে অনেকটাই হতভম্ব। তারা ভেবেছিলেন সোমবার গার্মেন্ট কারখানা ও আদমজী ইপিজেড বন্ধ হলেও শিমরাইল থেকে ঘরমুখো মানুষের ভিড় বাড়বে। এ নিয়ে প্রস্তুতিও নিয়েছিলেন। তবে মঙ্গলবারের চিত্রে হতাশ তারা। বুঝে উঠতে পারছেন না, ঠিক কী কারণে এবার ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ নেই!

মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত মহাসড়কের শিমরাইল, সানারপার, সাইনবোর্ড ও কাচপুর এলাকা ঘুরে এমন চিত্র চোখে পড়েছে।

শিমরাইলের পরিবহন ব্যবসায়ী মো. লিটন হাওলাদার মহাসড়কের এই অংশে এমন মন্দাভাব নিকট অতীতে কখনও দেখেননি। তিনি বলেন, অন্য বছর ঈদের আগে ঘরমুখো মানুষের জন্য শিমরাইল, সানারপাড় ও সাইনবোর্ড এলাকায় তিল ধারনের জায়গা থাকতো না। অথচ এবার বাস কাউন্টারের কর্মীরা ডেকে ডেকে যাত্রী তুলছেন।

কয়েকজন পরিবহন মালিক ও বাস চালকের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয় সমকালের। তাদের ধারণা, শিল্পাঞ্চল সিদ্ধিরগঞ্জ ও আদমজী ইপিজেডের কর্মরত শ্রমিকরা বেশ কিছুদিন আগেই দলবদ্ধ হয়ে বাস, মাইক্রোবাস অগ্রিম ভাড়া করে রাখেন। কারখানা বন্ধ হওয়ায় লাখ লাখ লোক এসব যানবাহনে চেপে সোমবার রাতেই বাড়ি চলে গেছেন। এ কারণে গণপরিবহনে যাত্রীর চাপ নেই। এ কারণেই মঙ্গলবার দিনভর মহাসড়কের এই অংশ ফাঁকা ছিল।

ওই বক্তব্যের সত্যতা মেলে হাইওয়ে পুলিশের শিমরাইল ক্যাম্পের ইনচার্জ টিআই একেএম শরফুদ্দিনের কথায়ও। তিনি বলেন, সোমবার রাতে কিছু যানবাহনের চাপ ছিল। মঙ্গলবার কোনো চাপই ছিল না। এদিন মহাসড়ক ছিল স্বাভাবিক। মহাসড়কের এই অংশ স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। ফলে যানজটের আশঙ্কা নেই। যাত্রীরা নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরছেন।



 

আরও পড়ুন

×