জাপান প্রবাসী খুন
পারভীনকে দেশে ফেরাতে ইন্টারপোলে চিঠি দিচ্ছে পুলিশ
আরিফুলের জাপানি স্ত্রী বাংলাদেশে আসতে চায়

জাপান প্রবাসী আরিফুল ইসলাম
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৪ | ২১:৫০
জাপান প্রবাসী আরিফুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত পারভীন আক্তারকে কানাডা থেকে দেশে ফেরাতে ইন্টারপোলে চিঠি দিচ্ছে পুলিশ। এদিকে স্বামীর কবর দেখার জন্য আরিফুলের জাপানি স্ত্রী আয়েশা (নাচুকি) বাংলাদেশে আসার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন স্বজনদের কাছে। তবে চলতি মাসের মাঝামাঝিতে তার সন্তান প্রসবের তারিখ নির্ধারিত রয়েছে। যে কারণে এখনই তিনি আসতে পারছেন না।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আরিফুলকে হত্যার কয়েক ঘণ্টা পরই পারভীন আক্তার কানাডা চলে যান। যে কারণে তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তবে তাকে দেশে ফেরানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। ইন্টারপোলে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এক-দুদিনের মধ্যেই চিঠি ইস্যু করা হবে।
আরিফুলের চাচাত ভাই মো. সবুজ বলেন, আরিফুল তিন বোনের একমাত্র ভাই। অনেক আদরের। শোকের মাতম বইছে তাদের বাড়ি। আরিফুলের স্ত্রী আয়েশাও ফোন দিয়ে আর্তনাদ করছেন। কিছুদিনের মধ্যে তার সন্তান হবে। সন্তানের মুখ দেখার আগেই আরিফুল দুনিয়া থেকে চলে গেলেন। সন্তানও বাবার জীবিত মুখ দেখতে পারবে না কখনও।
নিহত আরিফুল ও হত্যা মামলার প্রধান আসামি পারভীনের গ্রামের বাড়ি নরসিংদীতে। পারভীন বর্তমানে কানাডায় স্বামী নাজমুল হাসান বাবুর কাছে থাকেন। আর আরিফুল ছিলেন জাপান প্রবাসী। জাপানি তরুণী নাচুকির সঙ্গে বিয়ে করেন তিনি। এর আগে দেশে থাকতে আরিফুল ও পারভীন বিয়ে করেন। তবে পরবর্তীতে দুজনই অন্যত্রে বিয়ে করলেও আইনিভাবে তাদের বিচ্ছেদ হয়নি। সে হিসেবে তারা স্বামী-স্ত্রী ছিলেন। নানা কারণে আরিফুলের ওপর ক্ষোভ ছিল পারভীনের। গত ১৬ মে তিনি দেশে আসেন আর ১৭ মে জাপান থেকে আসেন আরিফুল। ১৭ মে ভাটারা থানাধীন বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি অ্যাপার্টমেন্টে ভাড়া ওঠেন তারা। ওই রাতেই আরিফুলকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে পারভীন পরদিন সকালে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর ব্যবহার করে কানাডায় চলে যান। অ্যাপার্টমেন্ট লক করা ছিল। গত শনিবার ওই অ্যাপার্টমেন্ট থেকে আরিফুলের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের বোন সাফরিজা আক্তার রেলি বাদী হয়ে ভাটারা থানায় মামলা করেন।