ভবনের নকশা অনুমোদনে খালি জায়গায় গাছ লাগানোর শর্তের নির্দেশনা

বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪ | ১৩:১৭ | আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৪ | ১৩:১৮
ভবনের নকশা অনুমোদনে খালি জায়গায় গাছ লাগানোর শর্ত যুক্ত করার নির্দেশনা দিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। সোমবার সকালে রাজধানীর পূর্বাচলের ম্যাকাইনক্যাল স্ট্যাকইয়ার্ডে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ সপ্তাহের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ‘বৃক্ষ দিয়ে সাজাই দেশ, সমৃদ্ধ করি বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন মন্ত্রী। এ বছর পাঁচ লাখ গাছ লাগানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।
গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা হচ্ছে, গাছ লাগানোকে সামাজিক আন্দোলনে রুপান্তর করতে হবে। সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে বাংলাদেশে অনেক গাছ লাগানো হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে ঘাটতিও রয়েছে অস্বীকার করার উপায় নেই। সরকারি প্রতিষ্ঠান গাছ বেশি কাটে এই অভিযোগ অসত্য নয়। আগে যেমনটি হয়েছে, এখন থেকে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের যেসব প্রতিষ্ঠান রয়েছে, আমাদের নিজ উদ্যোগে গাছ লাগানো হবে। এখন থেকে এক বছরে আমরা পাঁচ লক্ষ গাছ লাগাব বলে লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছি।
গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, বাড়ি করার জন্য রাজউক যে শর্তের ভিত্তিতে নকশা অনুমোদন দেয়, সেখানে একটি শর্ত যুক্ত করতে বলেছি- তারা যেন বাড়ির অবশিষ্ট জায়গায় গাছ লাগায়, অন্তত ফুলের বাগান হলেও যেন করে। তাতেও বনায়নের কিছুটা কাজ হয়।
গণপূর্তমন্ত্রী আরও বলেন, আমি রাজউককে বলেছি, এ বছরের মধ্যে পূর্বাচলে বাড়ি করার কাজ শুরু করতে হবে। বসতি স্থাপন শুরু করা হলে এখানেও বাড়ি বানানোর ক্ষেত্রে অন্তত ২০ শতাংশে যেন গাছ লাগানো হয়, সেটি খেয়াল রাখতে হবে। ফলের গাছ হতে পারে, বনজ গাছ হতে পারে বা ঔষধি গাছ হতে পারে। একই সঙ্গে নিজেদের খাওয়ার উপযোগী সবজি উৎপাদন করতে পারেন, যেমন কাঁচামরিচ কিনতে কেন আমরা বাজারে যাব। নিজেদের ঘরের বারান্দায়, ছাদে বা বাড়ির আঙিনায় কাঁচামরিচ বা এ ধরনের অনেক কিছু নিজেরা আবাদ করা যায়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নবীরুল ইসলাম। এ সময় বক্তব্য দেন রাজউক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) ড. মো. ছিদ্দিকুর রহমান সরকার। অনুষ্ঠানে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতার, স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি মীর মঞ্জুরুর রহমান এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন।