শিক্ষক নেতাদের ক্ষোভ
আমরা শিক্ষকদের আত্মমর্যাদা চাই

ঢাবির কলাভবনে অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষকরা। ছবি-সমকাল
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪ | ১৬:৪৭ | আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৪ | ১৭:২৩
সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম প্রত্যাহারের দাবিতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলন আজ অষ্টমদিনে গড়িয়েছে তবে এখন পর্যন্ত অগ্রগতি তো দূর, সরকারের কারো সঙ্গে এখন অবধি আলোচনায় বসতে পারেননি শিক্ষকরা।
সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের মূল ফটকে অবস্থান কর্মসূচিতে এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিক্ষক নেতারা।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নিজামুল হক ভূইয়া বলেন, সাড়ে তিনমাস ধরে আমরা আন্দোলন করছি। পর্যায়ক্রমে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি, সংবাদ সম্মেলন করেছি, স্বাক্ষর নিয়েছি। আমরা শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি। আপনারা তখন কোথায় ছিলেন? ১ জুলাই যখনই আমরা সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে গেলাম, আপনাদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি আসল। আপনারা কী এত অবজ্ঞা করেন আমাদের। আপনারা কী আমাদের সাথে আলোচনা করতে পারতেন না? আলোচনায় আমাদের স্টেকহোল্ডারদের রাখতে পারতেন না?
এই শিক্ষক নেতা আরও বলেন, একটি দুষ্টচক্র ২০১৫ সালে আমাদের বেতন স্কেলের জন্য রাস্তায় নামিয়েছিল। সে চক্রটি আমাদের ওপর প্রত্যয় স্কিম চাপিয়ে দিয়েছে। এই চক্রটি ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রীকে ভুল বুঝিয়েছিল। এখনো একইভাবে ভুল বোঝাচ্ছে। তারা টকশোতে বলছে, আমরা প্রত্যয় স্কিমের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি। অথচ ২০২৩ সালে প্রধানমন্ত্রী যে ৪টি স্কিম চালু করেছিল, আমরা তাকে স্বাগত জানিয়েছিলাম।
তিনি বলেন, এই যে প্রত্যয় স্কিম ওনারা করেছেন। ওনারাই কী সব বিশেষজ্ঞ? অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজনীতি ওনারা জানেন? বিজ্ঞান ওনারা জানেন? আমাদের অর্থনীতিবিদরা অনেক বেশি সমৃদ্ধ। প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের অর্থনীতির, গণিতের শিক্ষকরা ছিল; যারা তাদের অংক করে পেনশন স্কিম বুঝিয়ে দিতে পারত। তা না করে তারা মনগড়া জিনিস দিয়ে শিক্ষকদের বিভ্রান্ত করছেন।
অধ্যাপক নিজামুল হক বলেন, আমরা আমরা সবসময় বলেছি, আমরা শিক্ষকদের আত্মমর্যাদা চাই। আমরা ডাল-ভাত খেয়ে চলতে চাই। আমরা আপনাদের মতো বিরাট জীবন যাপন করতে চাই না। আপনারা নিয়োগ হওয়ার তিন দিন পরেই সরকার থেকে সুযোগ-সুবিধা নিয়ে বিদেশ ঘুরে আসেন। আমরা শিক্ষকরা তো সেটা করছি না।
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে আন্দোলনে চলবে বলেও জানান তিনি।
গত ১ জুলাই থেকে প্রত্যয় স্কিম প্রত্যাহারের দাবি শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্বাত্মক কর্মবিরতি চলছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। বন্ধ আছে ক্লাস-পরীক্ষাও। ফলে সেশনজটের শঙ্কাও রয়েছে।
- বিষয় :
- শিক্ষক
- আন্দোলন
- প্রত্যয় স্কিম
- সর্বজনীন পেনশন