ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

যমুনা তীরের ৮১ হাজার পরিবারে ডব্লিউএফপির আগাম সহায়তা 

যমুনা তীরের ৮১ হাজার পরিবারে ডব্লিউএফপির আগাম সহায়তা 

ছবি: সংগৃহীত

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২৪ | ১৯:২৪

জানা গেছে, দুটি জাতীয় সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থার আওতায় সহায়তা পেয়েছে বন্যাকবলিত এলাকার আরও ৮ হাজার ১০০ জন। আগামী সপ্তাহে আরও এক হাজার পরিবার সামাজিক সুরক্ষা সহায়তা পাবে। এটি এখন পর্যন্ত ডব্লিউএফপির সবচেয়ে বড় আগাম সহায়তা।

কুড়িগ্রাম, সিরাজগঞ্জ, গাইবান্ধা, বগুড়া, জামালপুরসহ যমুনা তীরবর্তী কয়েকটি জেলায় এ সহায়তা বিতরণ করা হয়েছে। এসব জেলার অনেক এলাকা ইতোমধ্যে বন্যাকবলিত। ঝুঁকিতে রয়েছে ৫০ লাখের বেশি মানুষ। অনেকে বাসস্থান ছেড়েছে এবং খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির অভাব দেখা দিয়েছে। ডব্লিউএফপি এবং এর অংশীদার কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (কোইকা), ইউরোপীয় কমিশনের মানবিক সহায়তা বিভাগ (ইকো), সেন্ট্রাল ইমার্জেন্সি রেসপন্স ফান্ড (সার্ফ), অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশন (এএ) ট্রাস্ট–জার্মানি, আয়ারল্যান্ডের তহবিল, বাংলাদেশের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় মানবিক এ সহায়তা দিয়েছে।

এক বিবৃতিতে ডব্লিউএফপি বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডম স্কালপেলি জানান, যমুনার পানি বাড়তে থাকায় তীরবর্তী অনেকেই বন্যার ঝুঁকিতে রয়েছে। এ সংকট মোকাবিলায় সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারগুলোর প্রয়োজনীয় সহায়তা নিশ্চিতে অক্লান্তভাবে কাজ করে যাচ্ছে ডব্লিউএফপি। 
ডব্লিউএফপির আগাম সহায়তা কৌশলপত্রের লক্ষ্য হলো– বন্যার পানি সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছানোর আগে সহায়তা দিয়ে জীবন ও জীবিকা রক্ষা করা, সম্পত্তির ক্ষতি রোধ করা এবং দীর্ঘমেয়াদী মানবিক সহায়তার প্রয়োজন কমানো।

এদিকে এ সহায়তা কার্যক্রম চালাতে গিয়ে ডব্লিউএফপি ১৩.২ মিলিয়ন ডলার তহবিল সংকটে পড়েছে। এজন্য দাতা সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংস্থাটি।

আরও পড়ুন

×