ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

লোডশেডিং ভোগাবে সেপ্টেম্বরজুড়ে

লোডশেডিং ভোগাবে সেপ্টেম্বরজুড়ে

প্রতীকী ছবি

 সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ০৪:৪১ | আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১১:৪০

আগামী ২০ দিনের মধ্যে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে বলে আশা করছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

গতকাল বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের সভাকক্ষে ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশের (এফইআরবি) নির্বাহী কমিটির সঙ্গে বৈঠকে উপদেষ্টা বলেন, কয়েকটি ঘটনা একসঙ্গে ঘটেছে, সে কারণে লোডশেডিং বেড়েছে। হঠাৎ করে কারিগরি ত্রুটির কারণে বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে। একই সময়ে রামপালের একটি ইউনিটে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়েছে। গ্যাস সরবরাহ ঠিক থাকলে এই সংকট সামাল দেওয়া সহজ হতো। তবে সামিট গ্রুপের এফএসআরইউ (ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল) কয়েক মাস ধরে বিকল থাকায় গ্যাস সরবরাহ বাড়ানো যাচ্ছে না।

তিনি বলেন, এলএনজি আমদানির কাজ চলছে, ২০ দিনের মতো সময় লাগবে। এর পর গ্যাসের সরবরাহ বাড়বে। গ্যাস সংকটের কারণে শুধু বিদ্যুৎ না; শিল্প, সার কারখানা সব জায়গায় সমস্যা হচ্ছে। বড়পুকুরিয়া ও রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র দ্রুত চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এদিকে বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব হাবিবুর রহমান বলেন, মঙ্গলবারের চেয়ে বুধবারের বিদ্যুৎ পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের যে পাম্পটি বিকল হয়েছে, সে রকম আরেকটি পাম্প উড়োজাহাজে করে চীন থেকে আনা হচ্ছে। বড়পুকুরিয়া রোববারের মধ্যেই চালু হয়ে যাবে। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিকল ইউনিট দ্রুত চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সচিব বলেন, গ্যাস থেকে সাত হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ পেতাম। গ্যাস সরবরাহ কমে যাওয়ায় ৪ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট পাচ্ছি। সেখানে ২ হাজার ২০০ মেগাওয়াট ঘাটতি তৈরি হয়েছে। ভারতের আদানি গ্রুপের পাওনা টাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখানে অর্থের সংকট নেই। আমরা সোনালী ব্যাংকে ১০০ মিলিয়ন টাকা দিয়ে দিয়েছি। তারা ডলারের অভাবে দিতে পারছে না। আমরা আরও টাকা দিতে পারি। আশা করি, আদানির বিদ্যুৎ পেতে কোনো সমস্যা হবে না। আদানিকে বলা হয়েছে সরবরাহ বাড়াতে। 

উল্লেখ্য, সম্প্রতি বকেয়া টাকা চেয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে চিঠি দিয়েছেন ভারতের আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি। দ্রুত ৮০ কোটি ডলারের বকেয়া পরিশোধের জন্য চিঠিতে সরকারপ্রধানের হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন

×