ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

ছাত্র-জনতার আন্দোলন

গুলিবিদ্ধ মুরাদকে নেওয়া হলো থাইল্যান্ডে

গুলিবিদ্ধ মুরাদকে নেওয়া হলো থাইল্যান্ডে

আহত মোহাম্মদ মুরাদ ইসলাম। ছবি: সমকাল

সমকাল ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ নভেম্বর ২০২৪ | ১৫:৪৮ | আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২৪ | ২১:৩০

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ যুবক মুরাদ ইসলামকে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে পাঠানো হয়েছে। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তাঁকে ব্যাংককে পাঠানো হয়।

মুরাদ পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পিয়ারাখালী জামতলা এলাকার আমিনুল ইসলামের ছেলে। তিনি রাজধানীর গুলশানে একটি চায়নিজ রেস্তোরাঁয় কর্মরত ছিলেন। গত ১৮ জুলাই রাতে মিরপুরের সেনপাড়ায় পানির ট্যাঙ্ক এলাকায় পুলিশের গুলিতে আহত হন মুরাদ। গলা ও স্পাইনাল কর্ডে গুলি লাগার পর থেকে তিনি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর সমকালকে বলেন, অস্ত্রোপচারে মুরাদের শরীর থেকে দুটি গুলি বের করা হয়েছে। তাঁকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। এখন তিনি মোটামুটি স্থিতিশীল। তাঁর চার হাত-পা অবশ; আকারে-ইঙ্গিতে কথা বলতে পারেন। মুরাদকে মূলত ফিজিওথেরাপির জন্য ব্যাংককের ভেজথানি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাঁর বেঁচে থাকা এবং স্বাভাবিক জীবনে ফেরা– দুটিই অনিশ্চিত। 

আবু জাফর জানান, মুরাদ ইসলামকে নিয়ে এ পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত পাঁচজনকে থাইল্যান্ড পাঠানো হলো।

মুরাদের দুই ছেলেমেয়ে। তিনিই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। এই পরিস্থিতিতে দুশ্চিন্তায় মুরাদের স্ত্রী মহুয়া মার্জিয়া রানী। তিনি বলেন, ‘দুই ছেলেমেয়ের পড়ালেখা আর সংসারের খরচ জোগান দেওয়ার একমাত্র পথ এখন বন্ধ। আমরা কীভাবে বেঁচে থাকব, তা জানি না। তবুও আশায় আছি, সে বেঁচে ফিরবে।’

দুপুরে মুরাদের বাবা আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ব্যাংককে পৌঁছে গেছি। মুরাদকে বাঁচানোর শেষ চেষ্টা চলছে। আমার সন্তানের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই।’

নিউরোসায়েন্স হাসপাতালের চিকিৎসক অধ্যাপক রেজাউল করিম জানান, মুরাদ সুস্থ হলেও স্বাভাবিক জীবনে ফেরার সম্ভাবনা কম। 

আরও পড়ুন

×