ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

৩২ মাস পর বাড়ি ফিরল নুহা-নাবা

১৫ লাখ পরিশোধ, বাকিটা মওকুফ

৩২ মাস পর বাড়ি ফিরল নুহা-নাবা

সোমবার ২ বছর ৮ মাস বয়সে হাসপাতাল ছেড়ে কুড়িগ্রামে নিজেদের বাড়ি ফিরেছে নূহা-নাবা। ছবি: সমকাল

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০২৪ | ২১:৩৬

ব্যয়বহুল ও জটিল অস্ত্রোপচারে আলাদা হওয়া দুই বোন নুহা ও নাবা ৩২ মাস পর রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) থেকে বাড়ি ফিরেছে। বিলের প্রায় ২২ লাখ টাকার মধ্যে ১৫ লাখ টাকা পরিশোধের পর গত রোববার ছাড়পত্র পায় তারা। বাকি টাকা মওকুফ করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সোমবার ২ বছর ৮ মাস বয়সে হাসপাতাল ছেড়ে কুড়িগ্রামে নিজেদের বাড়ি ফিরেছে নূহা-নাবা।

তাদের বাবা আলমগীর রানা জানান, গত ৭ নভেম্বর তাদের ছাড়পত্র দেওয়ার কথা ছিল। এ দিন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কেবিন ভাড়া বাবদ ২২ লাখ টাকার একটি বিল ধরিয়ে দেয়। অথচ তাদের চিকিৎসা হওয়ার কথা বিনামূল্যে। এ সমস্যা সমাধানের জন্য দপ্তরে দপ্তরে ঘুরতে হয়। এর ফলে বাড়ি ফেরা আটকে যায় নুহা-নাবার। গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর একটি কোম্পানি ১৫ লাখ টাকা অনুদান দেয়। আর বাকি টাকা মওকুফ করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

২০২২ সালের ২১ মার্চ কুড়িগ্রামের কাঁঠালবাড়ীর পরিবহন শ্রমিক আলমগীর রানার স্ত্রী নাসরিন আক্তার মেরুদণ্ডে জোড়া লাগানো দুই কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। ওই বছরের ৪ এপ্রিল তাদের ঢাকায় আনা হয়। তখন থেকে তারা বিএসএমএমইউতে ভর্তি ছিল। কয়েক ধাপে অস্ত্রোপচারের পর তাদের চূড়ান্তভাবে আলাদা করা হয় গত ২০ ফেব্রুয়ারি। দুই শিশুকে আলাদা করার পর সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী (তৎকালীন) শেখ হাসিনা তাদের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন।’

বিএসএমএমইউ সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত নুহা-নাবা হাসপাতালের নিউরোসার্জারি মহিলা ওয়ার্ডে ভর্তি ছিল। ২০২২ সালের ৪ ডিসেম্বর তাদের কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। ৬১৮ নম্বর ভিআইপি কেবিনে বেড়ে উঠেছে দুই বোন।

আলমগীর বলেন, ‘দুই মেয়েকে নিয়ে রাতে বাড়ি পৌঁছেছি। তারা এখন হাঁটাচলা করতে পারে। ডাক্তাররা জানিয়েছেন, আগামী তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে তাদের আরেকটি অপারেশন করতে হবে।’

বিএসএমএমইউর সহউপাচার্য অধ্যাপক মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, নুহা ও নাবার চিকিৎসায় এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে ৫১ লাখ টাকা। ১৫ লাখ টাকা অনুদান ছাড়া বাকি টাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বহন করেছে। পরবর্তী সময়ে চিকিৎসায়ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিশু দুটির পাশে থাকবে।

আরও পড়ুন

×