ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণের সিদ্ধান্ত

মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের নিবন্ধনভুক্ত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবি সরকার মেনে নেওয়ার ঘোষণায় শিক্ষকরা আনন্দে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকেন। মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ থেকে তোলা। ফোকাস বাংলা
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারি ২০২৫ | ০১:১৬ | আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২৫ | ০৮:০৩
শিক্ষকদের টানা আট দিন আন্দোলনের মুখে দেশের নিবন্ধনভুক্ত সব স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পর্যায়ক্রমে এসব মাদ্রাসা জাতীয়করণের আওতায় আনা হবে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাজধানীর শাহবাগে এ কথা জানান মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এস এম মাসুদুল হক।
তিনি বলেন, এসব মাদ্রাসাকে প্রথমে এমপিওভুক্ত করা হবে। পরে জাতীয়করণ করা হবে। এ ছাড়া মিড ডে মিল ও উপবৃত্তি চালু এবং অবকাঠামো উন্নয়ন করা হবে।
এর আগে দুপুরে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণের বিষয়ে সভায় বসেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সেখানেই এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। এস এম মাসুদুল হক বলেন, আন্দোলনকারী শিক্ষকদের ছয় দফা দাবি মেনে নিয়েছে মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া শিক্ষকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনায় মন্ত্রণালয় দুঃখ প্রকাশ করেছে।
স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণে গত ২০ জানুয়ারি ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা। পরদিন সকাল থেকে শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তারা। এর মধ্যে গত রোববার ছয় দফা দাবিতে শাহবাগে তাদের পদযাত্রা কর্মসূচিতে সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ ও লাঠিপেটা করে পুলিশ। এতে ছয়জন আহত হন।
ইবতেদায়ী শিক্ষকরা জানান, ১৯৯৪ সালে একই পরিপত্রে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকদের ৫০০ টাকা সরকারিভাবে অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানানো হয়। এরপর ২০১৩ সালে ২৬ হাজার ১৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হয়। ১ হাজার ৫১৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসাকে জাতীয়করণ দূরে থাক, শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির আওতায়ও আনা হয়নি। বর্তমানে এসব মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষকরা ৩ হাজার ৩০০ টাকা এবং প্রধান শিক্ষকরা ৩ হাজার ৫০০ টাকা করে অনুদান পান। সামান্য এ টাকায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা। অথচ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো সব বিধিবিধান মেনে আসছেন তারা।
- বিষয় :
- মাদ্রাসা