তোফায়েল-আমু-কাদেরের বাড়িতে ভাঙচুর, আগুন

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বৃহস্পতিবার দুপুরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের গ্রামের বাড়িতে আগুন দেয় ছাত্র-জনতা। ছবি: সমকাল
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ০২:৪২ | আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ০৭:০৮
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের প্রতাপশালী একাধিক নেতার বাড়িতে হামলা, আগুন ও ভাঙচুর চালিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। গত বুধবার রাত থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার দিনভর বুলডোজার, হাতুড়িসহ দেশি যন্ত্র নিয়ে ভাঙচুর চালানো হয়। দেওয়া হয় আগুন।
এর মধ্যে ভোলায় তোফায়েল আহমেদের, ঝালকাঠি ও বরিশালে আমির হোসেন আমুর, নোয়াখালীতে ওবায়দুল কাদেরের, নওগাঁয় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের, রাজশাহীতে সাবেক প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের এবং বরিশালে আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়। খুলনায় ‘শেখবাড়ি’ নামে পরিচিত সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পাঁচ চাচাতো ভাইয়ের বাড়ি পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে। ভেঙে ফেলা হচ্ছে নারায়ণগঞ্জে শামীম ওসমানের পরিবারের দুটি ভবন। সমকাল ব্যুরো ও প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য–
তোফায়েল আহমেদের বাড়িতে আগুন
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের ভোলার গাজীপুর রোডের বাসায় ভাঙচুরের পর আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। বুধবার রাত ১টার দিকে বাড়ির আসবাবপত্রে দেওয়া আগুন বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত নিভু নিভু জ্বলতে দেখা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত সাড়ে ১২টায় ভোলা শহরের বাংলা স্কুল এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে চকবাজার, নতুন বাজার ঘুরে গাজীপুর রোডে যায় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। সেখানে প্রিয় কুটির নামে তোফায়েল আহমেদের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের পর আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। বাসার কিছু আসবাবপত্র সড়কে এনেও আগুন দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে সদর থানার ওসির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আগে থেকেই তোফায়েল অসুস্থ হয়ে নির্বাক। তিনি রাজধানীতে পরিবারের সঙ্গে রয়েছেন। বাড়িতে আগুন দেওয়ার বিষয়ে তাঁর পরিবারের সদস্য বা স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর বক্তব্যও পাওয়া যায়নি।
ভেঙে ফেলা হচ্ছে আমুর বাসভবন
আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ঝালকাঠি-২ আসনের সাবেক এমপি আমির হোসেন আমুর ঝালকাঠির আমতলা সড়কের বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে ছাত্র-জনতা। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তারা হাতুড়ি দিয়ে ভবনটি ভাঙা শুরু করে। এ ছাড়া জেলা প্রশাসনের জমি দখল করে স্ত্রী ফিরোজা আমুর নামে গড়া হোমিওপ্যাথিক কলেজের সীমানা দেয়াল ভেঙে দেওয়া হয়।
গতকাল ভাঙচুরের সময় ঝালকাঠির শিক্ষার্থী প্রতিনিধি ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি বলেন, ঝালকাঠির এই বাসায় বসে জনগণের টাকা ভাগবাটোয়ারা করতেন আমু। স্বৈরাচারের দোসরদের নিয়ে মিটিং করে লুটপাটের পরিকল্পনা করা হতো। জেলার সব নিয়োগের টাকা লেনদেন হতো এ বাড়িতে। এই জায়গা ফাঁকা করে নামাজ পড়ার ব্যবস্থা করা হবে।
ভাঙচুরের সময় বিভিন্ন নথি পাওয়া যায় বাড়িটিতে। এ বিষয়ে ঝালকাঠি থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, বিষয়টি আমরা মাত্র শুনেছি। খোঁজখবর নিচ্ছি।
এর আগে ৫ আগস্ট এই বাড়িতে ছাত্র-জনতার দেওয়া আগুন নেভাতে গিয়ে দমকল কর্মীরা পাঁচ কোটি টাকাসহ বিপুল পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার করেন।
এদিকে বরিশাল নগরের বগুড়া সড়কে আমুর ডুপ্লেক্স ভবন এবং তাঁর খালাতো ভাই অপসোনিন গ্রুপের চেয়ারম্যান ক্যাপ্টেন সবুর খান ও তাঁর ভাইদের পৈতৃক বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়েছে। শেখ হাসিনার পতনের পর ডুপ্লেক্স ভবনটিতে ভাঙচুর চালানো হলেও অপসোনিন পরিবারের বাসভবন রক্ষিত ছিল। গত বুধবার রাত ২টার দিকে কয়েকশ ছাত্র-জনতা বুলডোজার দিয়ে মূল ফটক ভেঙে ভেতরে ঢুকে আসবাব ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। অপসোনিন মালিকের তিনতলা ভবনে ছোড়া হয় ইটপাটকেল।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ছাত্র-জনতা চলে গেলে শুরু হয় লুটপাট। ফার্নিচার, ফ্যান, ফ্রিজ, লেপ-কাঁথা যে যা পারেন নিয়ে যান। দুটি ভবনের দরজা-জানালাও খুলে নিয়ে যায় অনেকে। এ সময় তারা বলেন, জনগণের টাকা লুট করে সম্পদ করেছেন, তাই নিয়ে যাচ্ছি।
ওবায়দুল কাদেরের গ্রামের বাড়িতে হামলা, আগুন
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বড়রাজাপুর গ্রামের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে ফ্যাসিবাদবিরোধী স্লোগান দিয়ে প্রায় এক ঘণ্টা ভাঙচুর চালানো হয় কাদের ও তাঁর দুই ভাইয়ের বাসায়।
স্থানীয়রা জানান, গ্রামের বাড়ি হলেও সেখানে থাকতেন না ওবায়দুল কাদের। বাড়িটি মূলত তাঁর ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও আরেক ভাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শাহাদাত হোসেনের।
গতকাল ৪০০ থেকে ৫০০ ছাত্র-জনতা মিছিল নিয়ে গিয়ে প্রথমে কাদের মির্জার দ্বিতল ভবনে ভাঙচুর চালায়। গত ৫ আগস্ট হামলা ও অগ্নিসংযোগের কারণে এ ভবনে কোনো আসবাবই ছিল না। পরে ভবনের সামনে থাকা পানির ট্যাঙ্ক ও একটি পরিত্যক্ত গাড়িতে পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এর পর সামনের দিকে শাহাদাত হোসেনের চৌচালা টিনের ঘরে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোয়াখালী জেলা শাখার সমন্বয়ক আরিফুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগের অপকর্মের অন্যতম হোতা ওবায়দুল কাদের। গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও হত্যার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড ছিলেন তিনি। পালিয়ে গেলেও তিনি দলের নেতাকর্মীকে উস্কানি দিচ্ছেন এবং দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছেন।
বুলডোজার নিয়ে হাসানাত আবদুল্লাহর বাড়ি ভাঙচুর
বরিশাল নগরের কালিবাড়ী রোডে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর বাড়ির সামনের অংশ বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বুধবার রাত ১২টার দিকে ছাত্র-জনতা মিছিল নিয়ে বাড়িটির সামনে যায়। পরে বুলডোজার দিয়ে সীমানাপ্রাচীর ও ভবনের সামনের অংশ ভেঙে ফেলে। আগুনও দেওয়া হয়। এ সময় সেনাবাহিনী বাধা দিলেও জনতাকে ফেরাতে ব্যর্থ হয়।
স্থানীয়রা জানান, শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগনে আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এই বাড়ি থেকে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলে আওয়ামী লীগের রাজনীতির একাংশ নিয়ন্ত্রণ করতেন। তাঁর ছেলে সাদিক আবদুল্লাহ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র। গত ৫ আগস্ট বাড়িটিতে জনতার দেওয়া আগুনে পুড়ে মারা যান মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গাজী নাঈমুল ইসলাম লিটুসহ তিনজন।
খুলনায় শেখবাড়ির ইট-রড খুলে নিয়ে গেছে লোকজন
খুলনায় ‘শেখবাড়ি’ নামে পরিচিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাঁচ চাচাতো ভাইয়ের বাড়িতে আগুন ও বুলডোজার দিয়ে ভাঙচুরের পর ইট-রড খুলে নিয়ে গেছে লোকজন। গত বুধবার রাতে বাড়িটির বড় অংশ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। প্রায় দেড় দশক খুলনায় ‘ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু’ বাড়িটির পরিণতি দেখতে গতকাল সকাল থেকেই ভিড় জমায় উৎসুক জনতা। এ সময় তারা ধ্বংসস্তূপের মধ্যে যা পান নিয়ে যান।
দুপুরে নগরীর শেরেবাংলা রোডে গিয়ে দেখা যায়, অসংখ্য মানুষ হাতুড়ি দিয়ে ইট খুলে রিকশা, ভ্যান ও ইজিবাইকে করে নিয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ যন্ত্রপাতি দিয়ে রড কেটে নিয়ে যাচ্ছে। আবার কেউ কেউ ইট-রড খুলে বাড়ির সামনেই বিক্রি করছে।
বাড়ির চত্বরে ডিজিটাল পাল্লায় ওজন করে রড কিনছিলেন শেখপাড়া এলাকার এক ভাঙাড়ি দোকানি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, এখানে সস্তায় কিনতে পারছি, সে কারণে এসেছি। রিকশায় করে ইট নিয়ে যাওয়ার সময় চালক সোলায়মান হোসেন বলেন, ১৫ বছর আওয়ামী লীগের লোকজন আমাদেরটা লুট করেছে। এ কারণে এখন তাদের বাড়ির ইট-রড খুলে নিয়ে যাচ্ছি।
এর আগে বুধবার রাত ৮টার দিকে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা শেখবাড়ির সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে। রাত ৯টা থেকে তিনটি বুলডোজার দিয়ে বাড়ির ফটক ও দোতলা বাড়ির অর্ধেক অংশ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয়রা জানান, এই বাড়িতে থাকতেন শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই সাবেক এমপি শেখ হেলাল উদ্দিন, সাবেক এমপি শেখ সালাহ উদ্দিন জুয়েল, যুবলীগ নেতা শেখ সোহেল, শেখ জালাল উদ্দিন রুবেল ও শেখ বাবু। এখান থেকে নিয়ন্ত্রিত হতো খুলনায় আওয়ামী লীগের রাজনীতি, ব্যবসা, ঠিকাদারি, নিয়োগ, বদলিসহ অনেক কিছু। গত ৪ ও ৫ আগস্ট ভাঙচুর ও আগুনের পর বাড়িটিতে শুধু ইটের অবকাঠামোই অবশিষ্ট ছিল। এবার সীমানাপ্রাচীরসহ সব গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
ভাঙা হচ্ছে ওসমান পরিবারের দুই ভবন
নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় আওয়ামী লীগের ‘গডফাদার’ শামীম ওসমানের পরিবারের দুটি ভবন ভেঙে ফেলা হচ্ছে। গতকাল দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় কমপ্লেক্সে শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভাঙার সময় মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শাখাওয়াত হোসেন ভবন দুটি ভাঙার ঘোষণা দেন।
এর পর সন্ধ্যা ৭টার দিকে নগরীর চাষাঢ়া মোড়ে অবস্থিত শামীম ওসমানের দাদা ওসমান আলীর ‘বায়তুল আমান’ বুলডোজার দিয়ে ভাঙা শুরু করেন বিএনপি নেতাকর্মী। ভেতরের একটি অংশে আগুনও দেওয়া হয়। বিপুলসংখ্যক সাধারণ মানুষ তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। এর পর রাত পৌনে ৮টার দিকে শত শত মানুষ মিছিল নিয়ে উত্তর চাষাঢ়ায় শামীম ওসমানের বাবা এ কে এম সামসুজ্জোহার ‘হিরা মহলে’ হামলা চালায়।
ঘটনাস্থলে থাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, শামীম ওসমান ও তাঁর সন্ত্রাসী বাহিনী অসংখ্য গুম, খুন করেছেন। ওসমান বাহিনীর প্রতি মানুষের যে ক্ষোভ, তা এই ভবন ভাঙার মধ্য দিয়ে বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।
সাবেক মন্ত্রী সাধন চন্দ্রের বাড়ি ভাঙচুর
নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের বাড়িতে হামলা ও আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে শহরের পোস্ট অফিস পাড়ায় সাধন চন্দ্রের বাড়িতে মিছিল নিয়ে যায় তারা। ব্যাপক ভাঙচুরের পর আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
তারা এ সময় বলেন, শেখ হাসিনা দেশব্যাপী যে ফ্যাসিবাদী চিহ্ন রেখে গেছে, আমরা তা নিশ্চিহ্ন করতে আজ একত্র হয়েছি। বৈষম্যের বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন চলবে, যতক্ষণ না ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়।
সাবেক প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ারের বাড়িতে ভাঙচুরের পর আগুন
সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের রাজশাহীর আড়ানীর বাড়িতে হামলা, ভাঙচুরের পর আগুন দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে দেওয়া আগুনে চারতলা ভবনের বেশির ভাগ অংশ পুড়ে গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চার শতাধিক মানুষের একটি মিছিল বিভিন্ন স্লোগান দিতে দিতে বাড়িটির সামনে যায়। ফটকের তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তারা সব কক্ষে ভাঙচুর চালায়। দুপুর ১২টার দিকে আগুন দেওয়া হয়। এ সময় গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে চারদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে দুপুর দেড়টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
বাঘা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, স্থানীয়দের সঙ্গে সমন্বয় করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। না হলে আশপাশের বাড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়ত।
এ বিষয়ে শাহরিয়ার আলমের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে কল করলেও পাওয়া যায়নি। তাঁর বাবা মোহাম্মদ শামসুদ্দিন বলেন, যারা সব জায়গায় এসব করছে, তারাই আগুন দিয়েছে। সেখানে পুলিশ আছে। ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে পারিনি।
- বিষয় :
- আগুন
- তোফায়েল আহমেদ
- ওবায়দুল কাদের
- ভাঙচুর